নিজস্ব প্রতিবেদক:
টানা তিনমাস মহামারী করোনার তাণ্ডবে বিপর্যস্ত প্রায় ইতালি চলতি মাসের শুরু থেকেই ধীরেধীরে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। লকডাউন শিথিলের পর থেকেই দেশটির জনগণের সাথে কাজে ফিরতে শুরু করেছে দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাঙ্গালিরাও। ফলে নিজেদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
চীনের উহান প্রদেশ থেকে উৎপত্তি করোনা ভাইরাস ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ইতালিতে হানা দেয়ার পরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুরো ইতালিকে লকডাউন ঘোষণা করে দেশটির সরকার। ফার্মেসী ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ব্যতীত সবকিছুই বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে অনেক প্রবাসীই কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন।
তবে বর্তমানে বার রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন কলকারখানা খুলে দেয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছে এসব প্রবাসী বাংলাদেশীরা। তবে এখনো কর্মহীন রয়েছেন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা।
এবিষয়ে মিলানের একটি রেস্টুরেন্টে কর্মরত প্রবাসী শাহাবুদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকায় ঘরে বসে থাকতে হয়েছিল। কাজ না থাকায় অনেক অনেক অসুবিধায় কেটেছে দিনগুলি। তবে কয়েকদিন যাবত রেস্টুরেন্ট খোলা থাকায় কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। তবে এখনো করোনার আতংক রয়ে গেছে’।
এছাড়া ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা পর্যটকদের অপেক্ষায় রয়েছেন। কিছুদিনের মধ্যেই গ্রীষ্মকাল শুরু হবে তখনই দেশটির সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটক আসলে এসব ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা শুরু করবে। তবে করোনার কারণে এবছর পর্যটকদের সংখ্যা কেমন হবে তা বলা মুশকিল।
এবিষয়ে দেশটির ভেনিসের ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘প্রতি বছরের এই সময়েই ধীরেধীরে পর্যটক আসতে শুরু করে। তবে এই বছরটায় কেমন পর্যটক আসবে সেটা বলা যাচ্ছেনা। পর্যটকদের সংখ্যা কম হলে আমাদের ব্যবসাও কম হয়’।
ইতিমধ্যে পর্যটকের কথা চিন্তা করে দেশটির অন্যতম দর্শনীয়স্থান রোমের ক্লোসিয়াম ও ভ্যাটিক্যান সিটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দিয়েছে দেশটির সরকার। তবে অনলাইনের মাধ্যমে টিকেট সংগ্রহ করে প্রবেশ করা যাবে এই স্থান দুটিতে।
এছাড়াও পর্যটকদের মূল আকর্ষণ দেশটির ভাসমান শহর ভেনিসের অবস্থাও অনেকটা স্বাভাবিক। চাইলেই যে কেউ এখন ঘুরতে আসতে পারবে স্বপ্নের ভেনিসে। ইতিমধ্যে ইউরোপের অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান, বাস ও ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। এছাড়াও পর্যটকেরা দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইনে থাকা না ছাড়াই ইতালিতে ঘুরতে পারবেন বলে জানিয়েছে দেশটির প্রশাসন।
সেরা নিউজ/আকিব