অনলাইন ডেস্ক:
তথ্য প্রবাহের এই অবাধ এবং সহজপ্রাপ্তির যুগেও করোনা মহামারির কথা জানে না মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের লাখো মানুষ। রাখাইনে প্রায় বছর জুড়ে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট। তাই করোনা বিষয়ক কোন তথ্য সেখানে প্রচারের সুযোগ হয় না। গত বছরের জুনে মিয়ানমার সরকার সেখানে ৮টি শহরে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিল।
৮ টি শহরের প্রায় ৮ লাখ মানুষ তথ্য অবরোধের কবলে। মানবাধিকার সংস্থা হিউমেন রাইটস ওয়াট ও অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, অবরোধ আরো চলতে থাকলে সেখানের মানুষের জীবন হুমকিতে পড়বে। রাখাইনে একটি ক্যাম্পে প্রায় ১ লাখের বেশি মুসলিম একসাথে বসবাস করে। তবে তথ্যের অভাবে তাদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের বিষয়ে কোন সচেতনতা নেই। খবর সিএনএনের
দেশটিতে এ পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২৯২ জন শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। রাখাইনের মংডু ও বুচিডং ক্যাম্পে এক লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আটক রয়েছে, জনাকীর্ণ শিবিরে সাধারণ স্বাস্থ্য নিয়েও তেমন সচেতনতা নেই। স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার পর্যাপ্ত সুবিধাও নেই। আর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও সে সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে তেমন প্রচারণা না থাকায় নিজেদের অগোচরেই প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
২০১৮ সাল থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন সংখ্যালঘু মুসলমান জনগোষ্ঠী। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লেও ইন্টারনেটবিহীন রাখাইন রাজ্যের তথ্যবঞ্চিত মানুষেরা ‘নিশ্চিন্তে’ দিন কাটাচ্ছেন। ফেসবুকে এ নিয়ে দেশটিতে উদ্বেগ-আতঙ্কের খবর ছড়িয়ে পড়লেও তাদের অগোচরেই থেকে যাচ্ছে করোনার খবর।
তবে আরাকান লিগ ফর ডেমোক্রেসির একজন এমপি টুট মে বলেছেন, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় উত্তর রাখাইন ও পাশের শিন রাজ্যের অনেক মানুষই ফেসবুক ও সরকারি ওয়েবসাইটে প্রচার করা মহামারির খবর জানতে পারছেন না।
তিনি বলেন, আমার সংসদীয় আসনের লোকদের সঙ্গে করোনা নিয়ে কথা বলতে গেলে আমাকে শুরু থেকেই সব কিছু বিশদভাবে বলতে হয়।
সেরা নিউজ/আকিব