ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
এলাকাভিত্তিক করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় লন্ডনের ৩৬টি এলাকাকে দ্বিতীয় দফায় কঠোর লকডাউনে আনা হচ্ছে। এছাড়া সরকারের পর্যবেক্ষণে রয়েছে আরও ১৫১টি এলাকা।
ইংল্যান্ডের হেল্থ সেক্রেটারি ম্যাট হ্যানকক বলেন, ‘লেস্টার সিটিতে ১০ শতাংশ করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে বৃহস্পতিবার থেকে লেস্টার সিটি দ্বিতীয়বারের মতো লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
লেস্টারের পর এবার লকডাউনে যেতে পারে দক্ষিণ ইয়র্কশায়ারের ডনকাস্টার এবং ব্রাডফোর্ড। তবে লেস্টার, ডনকাস্টার এবং ব্রাডফোর্ড ছাড়াও গ্রেটার লন্ডনের বেশকিছু এলাকা দ্বিতীয়বার লকডাউনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে বার্কিং অ্যান্ড ডেগানহ্যাম, ব্রেন্ট, ইলিং, এনফিল্ড, হ্যারিংগে এবং হান্সলো।
আরও রয়েছে নর্থ ইস্ট অ্যান্ড গেইটসেইড, সান্ডারল্যান্ড, রেডক্যার, ক্লেভেল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি এলাকা। এগুলোসহ ইংল্যান্ডের অন্তত ৩৬টি বার কাউন্সিল দ্বিতীয় দফায় এলাকাভিত্তিক লকডাউনে যাবে। এছাড়া আরও ১৫১টি এলাকা সরকারের পর্যবেক্ষণে রয়েছে বলে হেলথ সেক্রেটারি জানিয়েছেন। এসব এলাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
লন্ডন এম্পেরিয়েল কলেজের প্রফেসর এবং সরকারের সাবেক উপদেষ্টা নেইল ফারগুসন এই আশঙ্কার কথা জানিয়ে বলেছেন, লেস্টারের মতো ডনকাস্টার এবং ব্রাডফোর্ডে আপাতত এতটা ঝুঁকি নেই কিন্তু প্রতি ১শ হাজারে সংক্রমণের হার এই দুই এলাকায় যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না
লকডাউনের জন্য।
ডনকাস্টারে মঙ্গলবার আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সাউথ ইয়র্কশায়ারে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। ডনকাস্টারে গত ১৩ থেকে ১৯ জুনে নতুনভাবে সংক্রমিত হয়েছিল মাত্র ১১ জন। কিন্তু ২০ থেকে ২৬ জুনের ভেতরে সংক্রমিত হয় ৩২ জন। ডনকাস্টারে বর্তমানে ৯৫০ জন করোনা রোগী রয়েছে। আর দক্ষিণ ইয়র্কশায়ারের মধ্যে ডনকাস্টারের মঙ্গলবার সবচাইতে বেশি মৃত্যু হয়েছে।
হেলথ সেক্রেটারি জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফায় এলাকাভিত্তিক লকডাউন হবে আরও বেশি কঠোর। লকডাউন এলাকায় স্কুল, কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে, নন এসেন্সিয়াল দোকান পাট, শপিংমলসহ সবকিছু বন্ধ থাকবে। একেবারে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাতায়াতের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
সেরা নিউজ/আকিব