শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোরেই মোদী লাদাখ পৌঁছান বলে তার কার্যালয়ের দেয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
লাদাখের লেহ ও সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত ফরওয়ার্ড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড নিমুতে প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামার বিষয়টি ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমও নিশ্চিত করেছে।
সফরে মোদীর সঙ্গে ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানেও আছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
জুনের মাঝামাঝি গালওয়ানে ওই সংঘর্ষে দুই পক্ষই পাথর, রড ও লাঠি ব্যবহার করেছিল বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। সংঘর্ষে ভারতের ২০ সেনা নিহত ও ৭৬ জন আহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে নয়া দিল্লি। বেইজিং তাদের দিককার কোনো ক্ষয়ক্ষতির কথা জানায়নি।
লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) ঘিরে পাঁচ দশকের মধ্যে রক্তক্ষয়ী এ সংঘর্ষের পর পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের সেনা কমান্ডাররা দফায় দফায় বৈঠক করলেও সীমান্তে থমথমে ভাব কাটেনি।
উভয় দেশ লাদাখের আশপাশে শক্তি বাড়াচ্ছে বলেও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে।
শুক্রবার মোদী এলএসির বিভিন্ন সীমান্ত চৌকিতে গিয়ে জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার।
সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, বৃহস্পতিবার ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের লাদাখ যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হয়।
কী কারণে রাজনাথের সফর বাতিল হয়েছে, তা নিয়ে নানান জল্পনা-কল্পনা থাকলেও পরদিন যে খোদ প্রধানমন্ত্রীই সীমান্তে সেনাদের ‘মনোবল চাঙা’ করতে যাচ্ছেন, ঘুণাক্ষরেও তার আভাস পাওয়া যায়নি।
নিরাপত্তার খাতিরেই প্রধানমন্ত্রীর এ সফরের বিষয়টি জানানো হয়নি বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হলেও মোদীর আচমকা লাদাখ সফরকে ‘চীনের জন্য বড় বার্তা’ হিসেবে দেখছেন অনেক পর্যবেক্ষক।
পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর না হলে বা খুব বড় পদক্ষেপের কথা ভাবা না হলে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে সচরাচর সীমান্ত চৌকিতে যেতে দেখা যায় না, বলছেন তারা।
১৫ জুনের সংঘর্ষে ভারত চীনকে ‘উপযুক্ত জবাব দিয়েছে’ বলে গত সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে মোদী মন্তব্য করেছিলেন।
“যারা লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে তাকানোর সাহস দেখিয়েছে, তাদের যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে। কী ভাবে বন্ধুত্ব রাখতে হয়, সেটা যেমন ভারত জানে, তেমনই কী ভাবে কারও সঙ্গে যুঝতে হয় এবং জবাব দিতে হয়, তাও আমাদের জানা রয়েছে,” বলেছিলেন তিনি।
সেরা নিউজ/আকিব