ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে শনিবার দু’টি বিমানবাহী রণতরী পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএসএ নিমিৎজ ও ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান নামের এই রণতরী দু’টি সেখানে সামরিক মহড়া চালাবে বলে জানিয়েছে দেশটির নৌবাহিনী।
এ দিকে প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় চীনের চলমান সামরিক মহড়ার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের রণতরীর মহড়ার ঘোষণায় সেখানে নতুন উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর দাবি, এই সামরিক সমাবেশের পেছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। খবর সিএনএন ও রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহরের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জোয়ে জেইলি বলেন, ‘ফিলিপাইন সাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরে দুইটি ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের মহড়ার মধ্য দিয়ে আমাদের বাহিনীগুলো অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ লাভের সুযোগ পেয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কিংবা বিশ্বের ঘটনাবলী কেন্দ্র করে এ জাহাজগুলো পাঠানো হচ্ছে না। বরং ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি রক্ষায় নৌবাহিনী যেসব অত্যাধুনিক সক্ষমতা ব্যবহার করে এটি তারই একটি।’
দক্ষিণ চীন সাগরের প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় ১ জুলাই মহড়া শুরু করেছে চীন, শেষ হবে ৫ জুলাই। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন ইতোমধ্যেই এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে। এরইমধ্যে চীন সাগরে সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী।
মৎস্য সম্পদসহ খনিজ আহরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে বছরে প্রায় ৫ লাখ কোটি ডলারের পণ্য পরিবহন হয়ে থাকে। পুরো সমুদ্রপথকে নিজেদের অঞ্চল বলে দাবি করে চীন। তবে আরও কয়েকটি দেশও ওই অঞ্চলের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে। দেশগুলো হচ্ছে মালয়েশিয়া, ব্রুনেই, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম।
যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ওই অঞ্চলের দাবি না করলেও আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথ হিসেবে ওই অঞ্চলে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি ধরে রাখতে চায়। এর অংশ হিসেবেই এ সাগরে চীনের চলমান মহড়ায় ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের আপত্তির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
সেরা নিউজ/আকিব