বিনোদন ডেস্ক:
নব্বই দশকের আলোচিত চিত্রনায়িকা মুনমুন। বিশেষ করে সাহসী খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় করে তার নামের সঙ্গে জুড়ে গেছে অশ্লীল নায়িকার খেতাবও। যদিও নিজের রূপ ও অভিনয়ের মাধ্যমেও অনেক মানষের মন জয় করেছেন তিনি। ক্যাপ্টেন এহতেশাম পরিচালিত ‘মৌমাছি’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তার। ১৯৯৭ সালে সিনেমাটি মুক্তি পায়। তারপর টানা অনেক সিনেমায় অভিনয় করে সাড়া ফেলেন তিনি। সে সময় বিভিন্ন ছবিতে বিরুদ্ধে অশ্লীলতার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু সমালোচকদের কথায় কান না দিয়ে একের পর এক চলচ্চিত্রে কাজ করে গিয়েছেন এই নায়িকা।
মুনমুন এ পর্যন্ত ৯০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে ‘টারজান কন্যা’, ‘মৃত্যুর মুখে’, ‘রাজা’, ‘মরণ কামড়’, ‘রাণী ডাকাত’, ‘আজকের সন্ত্রাসী’সহ অনেক সুপারহিট সিনেমা রয়েছে। ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান সুপারস্টার শাকিব খানের প্রথম ব্যবসাসফল সিনেমার নায়িকাও ছিলেন মুনমুন। এ সিনেমার নাম ‘বিষে ভরা নাগীন’। তবে এখন ছবি তেমন একটা করছেন না। খুব বেছে কাজ করছেন। পরিবার নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন এ নায়িকা। করোনার এ পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ সময় বাসাতেই থাকার চেষ্টা করছেন। মুনমুন বলেন, করোনা পরিস্থিতি শুরু হবার পর থেকেই বাসাতেই আছি। অতি প্রয়োজন না হলে বের হচ্ছি না। বাসায় থেকে সবার খোঁজ নিচ্ছি। আর বাসার কাজতো রয়েছেই।
এরমধ্যে কিছু ফেসবুক লাইভে অংশ নিয়েছি। তাছাড়া শুক্রবার আমার জন্মদিন ছিল। সারা দিনরাত জুড়েই ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষিদের শুভেচ্ছায় ভেসেছি। এদিকে চলচ্চিত্রে তার বিরুদ্ধে অশ্লীলতার অভিযোগ নিয়েও কথা বলেন তিনি। মুনমুন বলেন, আমি ২০০৩ সালে চলচ্চিত্র ছেড়ে দিই।
এর পরে দীর্ঘ চার বছর চলচ্চিত্রে অশ্লীলতার রাজত্ব চলে। এখনো আমার সিনেমাগুলো ইউটিউবে রয়েছে। সেগুলো একটু খেয়াল করে দেখলে সবাই বুঝবেন। একটি দৃশ্যেও অশ্লীলতা নেই। আমি যে পোশাক পরেছি, যেসব দৃশ্যে অভিনয় করেছি তা অন্য নায়িকারা কি করেননি! তা হলে শুধু আমার বিরুদ্ধে কেন অশ্লীলতার অভিযোগ উঠবে! আমাকে অশ্লীল হিসেবে পরিচিত করার পেছনে দায়ী কিছু মানুষ। কিন্তু সত্যি বলতে অশ্লীল দৃশ্যে আমি কাজ করিনি। এটা যে কেউ আমার ছবিগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন। আমি এ বিষয়টি আগেও বলেছি, এখনো বলছি।
সেরা নিউজ/আকিব