বিনোদন ডেস্ক:
কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর আর নেই। মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘদিন লড়াই করে সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় রাজশাহীর একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এন্ডু কিশোরের দুলাভাই ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ দেশের গানের কিংবদন্তি পুরুষ এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুতে সঙ্গীতাঙ্গন তথা দেশের শোবিজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এন্ডু কিশোর সিঙ্গাপুরে ক্যান্সারের চিকিৎসা নিয়ে গত ২০ জুন রাজশাহীতে বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের বাসায় ওঠেন। বোন ও দুলাভাই দুজনই চিকিৎসক হওয়ায় তাদের তত্বাবধানেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।
এন্ডু কিশোরের জন্ম রাজশাহীতে। সেখানেই কেটেছে তার শৈশব ও কৈশোর। তিনি প্রাথমিকভাবে সংগীতের পাঠ শুরু করেন রাজশাহীর আবদুল আজিজ বাচ্চুর কাছে। একসময় গানের নেশায় রাজধানীতে ছুটে যান। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত, আধুনিক গান, লোকগান ও দেশাত্মবোধক গানে রেডিওর তালিকাভুক্ত শিল্পী হন।
১৯৭৭ সালে আলম খানের সুরে ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রে ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তাঁর কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে এন্ডু কিশোরের চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু হয়। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। তার খুব জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যেখানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘আমি চিরকাল প্রেমেরও কাঙ্গাল’ প্রভৃতি।
এন্ডুকিশোর আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
সেরা নিউজ/আকিব