লাইফস্টাইল ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে নিয়মিত মাস্ক পরা অনেকেই প্রায় অভ্যাসে পরিনত করেছেন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাস্কের ব্যবহার বিপজ্জনক হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা।
মাস্কের বিকল্প হিসাবে ফেস শিল্ডের ব্যবহারের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা থেকে সুরক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে কোনটা বেশি কার্যকর এবং সাশ্রয়ী, তা বেশ কয়েকটি যুক্তি দিয়ে বুঝিয়েও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার নতুন নির্দেশিকায় সতর্ক করে বলা হয়েছে, শরীরচর্চা, সকালের ভ্রমণ বা অত্যাধিক দৈহিক পরিশ্রম যুক্ত কাজের সময় মাস্ক পরে থাকলে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি হতে পারে। এর ফলে শরীরে অস্বাভাবিক ক্লান্তি, বিভিন্ন অংশের পেশিতে টান পড়া বা খিঁচুনি, বমি ভাব, মাথা ঘোরানো এমন কি ব্রেন স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে।
তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরচর্চা বা অত্যাধিক দৈহিক পরিশ্রম যুক্ত কাজের সময় মাস্কের চেয়ে ফেস শিল্ড পরাটাই শ্রেয়। মার্কিন সংস্থা মায়ো ক্লিনিকের (Mayo Clinic) বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোনো ত্রিস্তর বিশিষ্ট মাস্ক ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে সক্ষম। তবে ফেস শিল্ড সমস্ত মুখমণ্ডলের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা জানান, দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরে থাকার কারণে অনেকের মধ্যেই ইদানীং শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা দেখা যাচ্ছে। যাদের শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা বা COPD-র সমস্যা আগে থেকেই রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরে থাকা প্রায় অসম্ভব। এ ক্ষেত্রে মাস্কের সবচেয়ে কার্যকরী বিকল্প হল ফেস শিল্ড।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মতে, মাস্কের চেয়ে ফেস শিল্ড অনেক বেশি পুনর্ব্যবহারযোগ্য (Recyclable/ Reuseble)। এটির ক্ষেত্রে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যাও হয় না। তাছাড়া শব্দহীন যোগাযোগের ক্ষেত্রে মাস্কের চেয়ে ফেস শিল্ড অনেক বেশি সুবিধাজনক। তবে ঘনবসতিপূর্ণ এলকায় মাস্ক পরাটাই শ্রেয়
সেরা নিউজ/আকিব