নিজস্ব প্রতিবেদক:
সদরঘাটের কাছে শ্যামবাজার এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় করা মামলায় ময়ূর-২ লঞ্চের সুপারভাইজার আব্দুস সালামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ঢাকার চিফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর ঘাট নৌথানার উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম। অপরদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিকা খান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ জুলাই) তাকে ঢাকার সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাত শুকরানার আদালতে আব্দুস সালামকে হাজির করে নৌপুলিশ। এ সময় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ-থানা পুলিশের উপপরিদর্শক শহিদুল ইসলাম। শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সকালে সূত্রাপুর থানার লালকুটির ঘাট থেকে তাকে গ্রেফতার করে নৌ-পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুন সকাল ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দোতলা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাট কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ানোর আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চডুবির ওই ঘটনায় ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ‘এমএল মনিং বার্ডকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয়ার সময় ‘ময়ূর-২’ এর মূল মাস্টার নয় এমন একজন শিক্ষানবিশ চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। লঞ্চের কোনো ত্রুটি নয়, মাস্টারের ভুলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পরদিন লঞ্চডুবির ঘটনায় নৌপুলিশের সদরঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শামসুল বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। অজ্ঞাতানামা আরও ৫-৭ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলায় বেপরোয়া লঞ্চ চালিয়ে মানুষ হত্যা ও ধাক্কা দিয়ে লঞ্চ দুর্ঘটনার জন্য দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৪৩৭ ও ৩৪ ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোফাজ্জল হামিদ ছোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার, জাকির হোসেন, চালক শিপন হাওলাদার, মাস্টার শাকিল ও সুকানি নাসির।
সেরা নিউজ/আকিব