গেল চাকরি, দাম্পত্যেও ফাটল - Shera TV
  1. [email protected] : sheraint :
  2. [email protected] : theophil :
গেল চাকরি, দাম্পত্যেও ফাটল - Shera TV
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪১ অপরাহ্ন

গেল চাকরি, দাম্পত্যেও ফাটল

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০

সদ্য গ্রেপ্তার হওয়া জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনা আরিফ নিজেকে জেকেজি হেলথ কেয়ারের ‘কোভিড-১৯ বিষয়ক পরামর্শক’ হিসেবে দাবি করছেন। তবে পুলিশের তদন্ত বলছে, ডা. সাবরিনাই জেকেজির চেয়ারম্যান।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ ডা. সাবরিনাকে গ্রেপ্তারের কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদে তাকে যেসব প্রশ্ন করা হয়েছে সেগুলোর সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি ডা. সাবরিনা। সেজন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডিসি হারুন আরো জানিয়েছেন, মামলার তদন্তের জন্য তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। সোমবার তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাইবে পুলিশ।

এর ঘণ্টা দুই আগে দুপুর সোয়া ১টার দিকে ডা. সাবরিনাকে তেজগাঁও ডিসি কার্যালয়ে আনা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জেকেজির প্রতারণা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিসিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পুলিশি হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ডা. সাবরিনা।

এদিকে পুলিশি জেরার আগে শনিবার (১১ জুলাই) একটি বেসরকারি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ডা. সাবরিনা দাবি করেন, তার জেকেজির চেয়ারম্যান হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। বরং তিনি জেকেজিকে ওভাল কোম্পানির অঙ্গ সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন. ওভাল গ্রুপ ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, যার মালিক আরিফুর রহমান।

তবে ২৪ জুন জেকেজির গুলশান কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ডা. সাবরিনার স্বামী প্রতারক আরিফুর রহমানসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছিল। সেই রিমান্ডেই আরিফুর রহমান কোভিড টেস্ট প্রতারণায় তার স্ত্রী ডা. সাবরিনাও সম্পৃক্ত বলে জানিয়েছেন। আর তার ভিত্তিতেই সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও জেকেজির প্রতারণায় তেজগাঁও থানায় দায়ের হওয়া চারটি মামলার কোনোটাতেই ডা. সাবরিনার নাম পায়নি পুলিশ।

তবে ডা. সাবরিনা কেন নিজেকে জেকেজির চেয়ারম্যান পদবী অস্বীকার করছেন সে ব্যাপারে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। কেউ কেউ বলছেন, স্বামী-স্ত্রী মিলে করোনা টেস্ট প্রতারণার কর্মকাণ্ড করলেও তাদের দাম্পত্য জীবনে জটিলতা আছে। দুজনের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের দেয়াল দাঁড়িয়ে গেছে। দাম্পত্য জীবনেও তারা পরস্পরের সঙ্গে প্রতারণার জালে জড়িয়ে গেছেন। এখান থেকে বের হতেই ডা. সাবরিনা পুলিশের কাছে এমন বক্তব্য দিচ্ছেন।

প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে, স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের এক চিকিৎসককে মারধর করায় স্বামী আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত ৪ জুন শেরেবাংলা নগর থানায় জিডি করেছিলেন ডা. সাবরিনা। আবার জেকেজির এক কর্মীকে অশালীন প্রস্তাব দেয়ার ঘটনায় গুলশান থানায় আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে।

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার সাবরিনা।

দাম্পত্য জীবনের সংকট থেকেই ডা. সাবরিনা জেকেজির সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করতে শুরু করেছেন। এরই অংশ হিসেবে ২৪ জুন ভোর সোয়া ৫টায় নিজের ফেসবুক আইডিতে ডা. সাবরিনা লেখেন– অনেক আশা নিয়েই জেকেজি হেলথকেয়ার শুরু করেছিলাম বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য!!! কোনো জিনিস প্রতিষ্ঠা করাই বড্ড কঠিন! অনেক কষ্ট করেছি! করোনা বিপর্যয় শুরু হওয়ার পর প্রথম এলাকাভিত্তিক স্যাম্পল কালেকশন শুরু হয়- কত মানুষের কত রকম বাধা! কোনো দোকান খোলা নেই, জিনিসপত্র নেই, কেউ ভয়ে করোনা নিয়ে কাজ করতে চায় না! সব পেরিয়ে পথ চলা!!!

কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠান থেকেই আমাকে সরে আসতে হয়! যারা আমাকে কাছ থেকে চেনেন, তারা জানেন– আদর্শ আর ভালোবাসার কনফ্লিক্টে আমি সবসময় আদর্শকেই বেছে নিয়েছি! ৪-৬ তারিখেই স্বাস্থ্য অধিদফতর আর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার ল্যাবের অধ্যাপক তুষার স্যার এবং আমার কাছে যে কজন সাংবাদিক ভাই ও বোনের নম্বর ছিল তাদের জানিয়ে আমি সরে যাই এখান থেকে!

আমি চলে গেছি মানে এই নয় যে, এখানকার কোনো সমস্যায় আমি পুলকিত হব বা তা আমাকে ছোঁবে না! যদি কেউ দোষ করে থাকে, তার প্রমাণ সাপেক্ষে অবশ্যই সাজা হবে! হওয়াই উচিত! তবে আমার প্রশ্ন হলো– দুয়েকজন কর্মচারীর নামে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটা প্রতিষ্ঠান যে এতদিন ধরে সেবা দিয়ে গেছে সব মুহূর্তেই মিথ্যা হয়ে যাবে?

আমার বেশিরভাগ এফবি ফ্রেন্ড আমার জন্য উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন, ভরসা দিয়েছেন- তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা! যারা চিরকালই আমার দোষ বের করতে পেরে বিমল আনন্দ পেয়েছেন, তাদের জন্য এই পোস্ট নয়…।

ডা. সাবরিনা।

ডা. সাবরিনা গণমাধ্যমে দাবি করেছেন, গেল মে মাসে স্বামী আরিফের সঙ্গে তার বিয়ে বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে বিচ্ছেদের কারণেই সাবরিনা জেকেজির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সে কারণেই তিনি নিজেকে চেয়ারম্যান না বলে প্রতিষ্ঠানটির কোভিড বিষয়ক পরামর্শক বলে দাবি করছেন। তবে অনেকেই বলছেন, ডা. সাবরিনাকে ব্যবহার করেই প্রতারণার সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন আরিফুর রহমান।

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360