সেরা নিউজ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ বছর পর প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলো মঙ্গলবার। সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি পেয়ে খুনের অভিযোগে প্রাণঘাতী ইনজেকশন দেওয়া হয় ড্যানিয়েল লুইস লি নামের ওই আসামীর শরীরে।
১৯৯৬ সালে একই পরিবারের তিন সদস্যকে খুন করে লেকে ফেলে দেয় লুইস। এক প্রতিবেদনে এই খবর দিয়েছে বিবিসি।
কিছু আইনি চ্যালেঞ্জ অমীমাংসিত থাকায় সোমবার দেশটির একটি আদালতের বিচারক বেশ কিছু মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সাজা স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করার কয়েক ঘণ্টা পর লুইসের মৃতুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও তাদের স্বজনরা দীর্ঘদিন ধরে ইনজেকশন প্রয়োগের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডকে কার্যকর ‘অমানবিক’ এবং ‘অপ্রচলিত সাজা’ বলে আসছে।
গত বছর ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, তারা আবারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর শুরু করবে। এবার পরিকল্পনা অনুযায়ী সাজা কার্যকরের পক্ষে ৫-৪ ভোটের রায় আসে সুপ্রিম কোরে্ট। মঙ্গলবার সকালের দিকে ইন্ডিয়ানায় একটি কারাগারে ইনজেকশন প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় লুইসের।
যদিও লুইস ও অন্য আসামিদের স্বজনরা ইনজেকশন প্রয়োগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিরোধিতা করে তা স্থগিতের আবেদন জানান। এভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলে শেষকৃত্যে স্বজনদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে।
১৮ বছর আগে আরকানসাসের আর্লিন পিটারসেনের মেয়ে, নাতনি ও পুত্রবধূকে হত্যা করে লুইস। তবে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পক্ষে কথা বলেছেন পিটারসেন।
সেরা নিউজ/আকিব