সেরা নিউজ ডেস্ক:
করোনা মোকাবেলায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুর্বল প্রশাসনিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছেন ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জুকারবার্গ। খবর-সিএনএন।
তিনি বলেন, আমি মনে করি এটি এড়ানো যায় এবং এটি সত্যিই হতাশাজনক যে আমাদের এখনো পর্যাপ্ত পরীক্ষা নেই। আপনার ও সিডিসির মতো শীর্ষ বিজ্ঞানীদের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে এবং সম্প্রতি প্রশাসনের বিভিন্ন অংশ প্রশ্নবিদ্ধ ছিল যে, নাগরিকরা মাস্ক পরার মতো মৌলিক অভ্যাসগুলো অনুসরণ করা উচিত কিনা?
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচির সঙ্গে ফেইবুক লাইভে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জুকারবার্গ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের সরকার এবং প্রশাসন রোগের বিস্তার রোধে যে ব্যবস্থা নিয়েছে তা তেমন কার্যকর হয়নি। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় বিষয়টিকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া প্রয়োজন।
জুকারবার্গ বলেন, নতুন এই রোগটি নিয়ে আমাদের জানার পরিধি বাড়ছে এবং বিজ্ঞানের দিকনির্দেশনা মেনেই এর বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। যদিও এখনও বিজ্ঞানের হাতে এটা নিয়ে যেসব তথ্য আছে তার সবই নির্ভুল নয়।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিদিন করোনা আক্রান্তে নতুন নতুন রেকর্ড করছে। অন্য দেশগুলোর চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এর সংকট বেশি। আক্রান্ত ও মৃতুৌর দিক দিয়ে বৃদ্ধি ঊর্ধ্বমুখী।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে ফাউচির পরামর্শ প্রথম থেকেই অনুসরণ করেনি ট্রাম্প প্রশাসন। এ নিয়ে ড. ফাউচি ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয়।
বলা হচ্ছে, ফাউচির পরামর্শ না মেনে ট্রাম্প নিজের খেয়ালখুশি মতো ব্যবস্থা নেওয়ায় দেশটির করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এতটা মারাত্মক রূপ নিয়েছে বলে দেশে-বিদেশে ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা চলছে।
প্রেসিডেন্টের মতো দেশটির নাগরিকরাও এ মহামারীকে গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানতে তেমন আগ্রহী নয়।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত প্রায় সব দেশের সরকার লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করলেও বাইরে মাস্ক পরা এবং দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক করেছে।
অথচ যুক্তরাষ্ট্রে মাস্ক পরা নিয়ে কিছু ভুল ধারণা চালু আছে। অনেকের ধারণা, মাস্ক পরলে শরীরে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এ নিয়ে নানা ‘মিম’ তৈরি হচ্ছে।
মাস্ক পরলে কোনো শারীরিক অসুবিধা হয় কিনা তা নিয়ে জুকারবার্গ জানতে চান ড. ফাউচির কাছে।
ফাউচি বলেন, এমনটি একেবারেই নয়। এমন কোনো কিছু এখনও পাওয়া যায়নি। মাস্ক পরলে শরীর থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড বেরতে না পারার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, আমি যখনই বাইরে যাই সব সময় মাস্ক পরে থাকি। বিশেষ করে যখন অন্যদের কাছাকাছি থাকি তখন ঠিকঠাক মাস্ক পরা নিয়ে খুব সচেতন থাকি। আমার কোনও অসুবিধাই হয় না। আমি এমনকি দৌঁড়ানোর সময়ও মাস্ক পরি। মাঝে মাঝে অবশ্য মুখ ঘেমে যায়। সেটা সম্পূর্ণভাবে মাস্ক কি ধরনের কাপড় দিয়ে তৈরি তার ওপর নির্ভর করে।
সেরা নিউজ/আকিব