বিপন্নের পথে পেঙ্গুইনের অস্তিত্ব - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
বিপন্নের পথে পেঙ্গুইনের অস্তিত্ব - Shera TV
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ অপরাহ্ন

বিপন্নের পথে পেঙ্গুইনের অস্তিত্ব

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:
পেঙ্গুইন শুধু আন্টার্কটিকা মহাদেশে নয়, দক্ষিণ আমেরিকার মতো অন্যান্য কিছু প্রান্তেও দেখা যায়। কিন্তু মানুষের কার্যকলাপে এ প্রাণীর অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ছে।

৫০০ বছর আগে ফার্দিনান্দ ম্যাগেলান প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে জাহাজ নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণতম প্রান্ত অতিক্রম করেছিলেন। সেখানকার আবহাওয়া বরফের মতো শীতল। এ অঞ্চলে ম্যাগেলানিক পেঙ্গুইন দেখা যায়। স্পেনের বিখ্যাত অভিযাত্রীর নাম অনুযায়ী এগুলোর নামকরণ করা হয়েছে।

জীববিজ্ঞানী আন্দ্রেয়া রায়া রেই আর্জেন্টিনার দক্ষিণ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে কাজ করেন। অভিযান চালাতে নিজেই গেছেন তিয়েরা দেল ফুয়েগো দ্বীপে। তিনি ও সহকর্মীরা নিয়মিত সেই এলাকার মোট সাতটি পেঙ্গুইনের ডেরা পরিদর্শন করেন। ডেরাগুলোতে প্রায় ৫ হাজার জোড়া ম্যাগেলানিক পেঙ্গুইন ও ৫০ জোড়া জেন্টো পেঙ্গুইন থাকে।

এছাড়া রয়েছে আরও বেশ কয়েক প্রজাতির পেঙ্গুইন। ম্যাগেলানিক পেঙ্গুইন মাটি খুঁড়ে বাসা তৈরি করে। সেখানে ডিম পাড়ে। শাবকদের লালনপালন করে। কিন্তু সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা বাড়ার ফলে সেখানে খাদ্যশৃঙ্খল বদলে গেছে। খাদ্যের সন্ধান পেতে আরও বেশি সময় লাগছে। শাবকদের আরও বেশি সময় একা ফেলে রাখতে হচ্ছে।

শাবকদের ওপর সিগাল পাখি বা অন্যান্য শিকারি প্রাণীর কুনজর বাড়ছে। গবেষকরা জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণের রকহপার পেঙ্গুইন। এরা শূককীটের মতো ক্ষুদ্র খোরাক খেতে অভ্যস্ত। অথচ পানির তাপমাত্রা বাড়ার ফলে শূককীটের অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে উঠেছে। ফলে খোরাকের অভাবে এদের সংখ্যা কমার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জমির ওপর পেঙ্গুইনদের বেশ অসহায় লাগলেও এরা পানিতে ঝাঁপ দিতে ও সাঁতারে বেশ পটু। কিছু ম্যাগেলানিক পেঙ্গুইন উরুগুয়ে ও ব্রাজিল পর্যন্ত সাঁতরে চলে যায়। অর্থাৎ প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার অতিক্রম করে।

প্রজনন ও শাবকের দেখাশোনার জন্যই পেঙ্গুইন সমুদ্রতটে বিচরণ করে। কিন্তু বেড়ে চলা দূষণের কারণে এরা হুমকির মুখে পড়েছে। বাসা বাঁধার গর্তগুলো প্লাস্টিক বর্জ্যে ভরে যাচ্ছে। কাছেই উশুয়াইয়া শহর থেকেই মূলত সেগুলো ভেসে আসে। কয়েক বছর আগে উশুয়াইয়া শহরের নাগরিকরা পরিস্থিতি মোকাবিলার সিদ্ধান্ত নেন।

এখন তারা জঞ্জাল পুঁতে ফেলতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। কখনও শীতকালে বরফ পড়লে সমুদ্রতটেই জঞ্জাল পড়ে থাকে। বরফ গলে গেলে সেই জঞ্জাল সমুদ্রে ভেসে যায়। বিশ্বের শেষ প্রান্ত বলে পরিচিত এ অঞ্চলে এমন উদ্যোগ পেঙ্গুইনদের স্বস্তি কিছুটা হলেও ফিরিয়ে দিচ্ছে। নিউজ/আকিব

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360