নিউজ ডেস্ক:
যুবলীগের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ড. মীজানুর রহমান। তিনি বলেছেন, যদি তাকে যুবলীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাহলে তিনি উপাচার্য পদ ছেড়ে দিয়ে সেই দায়িত্ব পালন করবেন।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে এমন আগ্রহের কথা জানিয়েছেন ড. মীজানুর রহমান। টকশো প্রসঙ্গে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনও আমি যুবলীগের এক নম্বর ভাইস চেয়ারম্যান। যুবলীগের প্রেসিডেন্ট না থাকলে আমারই দায়িত্ব পাওয়ার কথা। আমাকে যদি বলা হয়, যুবলীগের দায়িত্ব নিতে পারবেন কি-না, আমি সঙ্গে সঙ্গে চাকরি ছেড়ে দিয়ে সংগঠনের দায়িত্ব নেব।’
আগামী ২৩ নভেম্বর যুবলীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টক শোতে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
এ বিষয়ে অধ্যাপক মীজান বলেন, যুবলীগ নিয়ে সারা দেশে সমালোচনা শুরু হওয়ার পর অনেক নেতাকর্মী আমাকে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। সেই কারণে আমি বলছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন আমাকে যেই দায়িত্ব দিয়েছেন তা আমি সঠিকভাবে পালন করেছি। যুবলীগের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে নেত্রী আমাকে যুবলীগের দায়িত্ব দিলে আমি উপাচার্য পদ ছেড়ে দিয়ে দায়িত্ব নেব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিংয়ের অধ্যাপক মীজানুর রহমানের যুবলীগ সম্পৃক্ততা অনেক দিনের। ষাটোর্ধ্ব এই অধ্যাপক বর্তমানে সংগঠনটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। যদিও তার দাবি ২০১৩ সালে জবি ভিসি হওয়ার পরে তিনি আর সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সরাসরি যুক্ত থাকেননি। তারপরও যুবলীগের প্রতি তার ভালোবাসা সীমাহীন।
উল্লেখ্য, চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে যুবলীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এ ঘটনায় সংগঠনটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এবং সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া গ্রেফতারের পর ক্যাসিনোকাণ্ডে উঠে আসে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর নামও।
এ জন্য যুবলীগ সভাপতির দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি তলব করা হয়েছে তার ব্যাংক হিসাবও। সম্প্রতি সংগঠনটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের বৈঠক হয়েছে। যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না সত্তরোর্ধ্ব যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী। তাই আগামী কাউন্সিলে এই সংগঠনের সভাপতি পদসহ সব পর্যায়ে নেতৃত্ব পরিবর্তনের একটি আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
এই প্রসঙ্গ তুলে ধরে মীজানুর রহমান বলেন, ওমর ফারুক চৌধুরী চেয়ারম্যানের দায়িত্বে না থাকলে এক নম্বর সহ-সভাপতি হিসেবে আমিই দায়িত্বে আসি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যুবলীগের দায়িত্ব দিলে ভিসির পদ ছাড়তে আমি রাজি আছি।
যুবলীগের নেতৃত্বের বয়সসীমা নিয়ে ষাটোর্ধ্ব এই অধ্যাপক বলেন, এটা নেত্রী চাইলে বেঁধে দিতে পারেন। এখন যিনি চেয়ারম্যান তার বয়সটা অনেক বেশি। এটা তো আগে ছিল না। গড় আয়ু যে বেড়েছে সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে।
যুবলীগের কাউন্সিলে তিনি চেয়ারম্যান পদে লড়বেন কি-না জানতে চাইলে মীজানুর রহমান জানান, তিনি নিজে থেকে কোনো পদ চাইবেন না। কখনো কোনো পদ চাননি। আওয়ামী লীগ নেত্রী যদি দায়িত্ব দেন তাহলে তিনি উপাচার্যের চাকরি ছেড়ে দিয়ে যুবলীগের দায়িত্ব পালন করবেন।