যেসব লক্ষনে বুঝবেন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কিনা - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
যেসব লক্ষনে বুঝবেন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কিনা - Shera TV
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫১ অপরাহ্ন

যেসব লক্ষনে বুঝবেন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কিনা

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট, ২০২০

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

করোনাভাইরাস মহামারী আমাদের ঘাড়ের উপর বোঝা হয়ে চেপে আছে। এর কারণে আমরা সারাক্ষণ আতঙ্কিত বোধ করছি। সামান্য কাশি কিংবা জ্বর হলেও ভাবছি, করোনাভাইরাস নয়তো!

অনেকেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তেমন কোনো লক্ষণ দেখা দেয় না। আবার করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সব লক্ষণ সম্পর্কে এখনও জানা সম্ভব হয়নি। তবে বেশ কয়েকটি লক্ষণ সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়েছে। এই লক্ষণগুলো অনেকের ক্ষেত্রেই হালকাভাবে দেখা যেতে পারে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো, তাদের ক্ষেত্রে এই রোগের তীব্রতা খুব বেশি দেখা দেবে না। এমনটা হতেই পারে যে অজান্তেই আপনি ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থও হয়ে গেছেন। কীভাবে বুঝবেন আপনি আক্রান্ত হয়েছিলেন?

২০১৯ সালের ডিসেম্বরের আগেই যে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছিল তা প্রমাণ করার কোনো উপায় না থাকলেও, এমনটা হতে পারে আপনি আপনি সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শক্ত প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকায় সুস্থ হয়েছেন এবং পাশাপাশি অ্যান্টিবডিগুলোও বিকাশ করেছে। অথবা, এটিও সম্ভব হতে পারে যে ভাইরাসটি আপনাকে আক্রমণ করেছিল আর এটি একটি ক্ষতিকারক মিউটেশন ছিল, তাই এটি এতটা সংক্রামক ছিল না। কয়েকটি লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিন যা দেখে বোঝা যাবে আপনি ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন-

শীত অনুভূত হওয়া

গরমের সময় যদি তীব্র শীত অনুভব করেন তবে তা হতে পারে করোনাভাইরাসের লক্ষণ। অকারণে তীব্র কাঁপুনিসহ শীত অনুভূত হওয়া করেনাাভাইরাসের লক্ষণ। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে তীব্র কাঁপুনি, ঠোঁট এবং ত্বক নীলচে হতে পারে।

সর্দিজ্বর এবং নাক বন্ধ থাকা

ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে চুলকানি বা সর্দির সমস্যা বা দীর্ঘস্থায়ী অ্যালার্জি হওয়া খুব সাধারণ বিষয়। যাইহোক, এই সময়ে করোনাভাইরাসের লক্ষণগুলোর সঙ্গে আপনার লক্ষণগুলো ভালোভাবে তুলনা করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কি সর্দি বা নাকবন্ধ ভাবের কারণে হঠাৎ করে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছিল বা শুকনো, তীব্র কাশি হয়েছিল? তবে এটি সাধারণ ফ্লু না হয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছিল এমনও হতে পারে।

গন্ধ বা স্বাদের অনুভূতি ছিল না?
সাধারণত সর্দির কারণে কারো নাক বন্ধ হয়ে গেলে এমন অনুভূতি হতে পারে। তবে করোনাভাইরাসের যেসব লক্ষণ সম্পর্কে জানা গেছে, তার মধ্যে এটি একটি। বয়সে তরুণ রোগীদের কাশি এবং জ্বরের মতো উল্লেখযোগ্য লক্ষণ নাও থাকতে পারে তবে তারা কেবল গন্ধ এবং স্বাদের অনুভূতি হারাতে পারে। এতে বোঝা যায় যে এই ভাইরাসগুলো নাকের মধ্যে অবস্থান করছে।

মাথাব্যথা

ঠান্ডা লাগা থেকেও মাথাব্যথা হতে পারে। তবে মাথার চারপাশে প্রচন্ড ব্যথাও করোনাভাইরাসের লক্ষণ হতে পারে। সাইটোকাইনগুলোর উৎপাদনের ফলে তীব্র মাথাব্যথা হতে পারে। এটি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সাথে সাথে ঘটতে পারে।

 

ত্বকের সমস্যা

ত্বকে লাল, গোঁড়া ফুসকুড়ি করোনাভাইরাস সংক্রমণের অন্যতম স্বীকৃত লক্ষণ হিসাবেও অভিহিত করা হয়। চুলকানি বা ত্বকের র‌্যাশ ওঠা বা হামের মতো সমস্যা দেখা দিলে তা করোনাভাইরাসের লক্ষণ হতে পারে।

 

মাথা ঘোরা

করোনাভাইরাসের কারণে নিউরোলজিকাল সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং এতে আপনি অস্থির এবং দুর্বল বোধ করতে পারেন। যখন শরীর ডিহাইড্রেট হয় বা পুষ্টি কম থাকে তখন অস্বস্তি বোধ করা, ক্লান্ত বা হালকা মাথাব্যাথা অনুভূত হতে পারে। তবে এটি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি।

পিংক আই

ভাইরাসটি চোখের তরল হয়ে চোখকেও প্রভাবিত করতে পারে। করোনাভাইরাস পজিটিভ হিসাবে পাওয়া অনেকের মধ্যে পিংক আই লক্ষ করা গেছে। একটি সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোনো কোনো রোগী পিংক আই’র সমস্যায় ভুগতে পারে। এই সমস্যা বেশ গুরুতর।

ঠান্ডা এবং জ্বরের সঙ্গে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা
হঠাৎ ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়া ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, দুর্বলতা এবং ক্লান্তি দ্বারা চিহ্নিত করা হলেও নতুন এই ভাইরাস হজম ব্যবস্থায়ও প্রভাব ফেলতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য বমিভাব বা ডায়রিয়া অনুভব করা মোটামুটি সাধারণ বিষয়, এমনকি অনেকে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার আগে পেটের সমস্যায় ভোগেন।

নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা

করোনাভাইরাসের অন্যতম প্রধান লক্ষণ হলো নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা। ভাইরাস যা সংক্রমণের কারণে এসএআরএস-এনসিওভিটি আপার শ্বাসযন্ত্রের ট্র্যাক্ট আক্রমণ করে এবং ফুসফুসের চারপাশের রেখাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। ফলে এটি তীব্র শ্বাসকষ্টের কারণ হয়। যা শুষ্ক কাশি, শ্বাসকষ্ট, হার্টের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। যার ফলে সংক্রমণের চূড়ান্ত পর্যায়ে কেউ কেউ সঠিকভাবে শ্বাস নিতে অসুবিধা বোধ করতে পারে।

পেশী ব্যথা

সেন্টার অফ ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর মতে, করোনাভাইরাস শরীরকে একের চেয়ে বেশি উপায়ে প্রভাবিত করে এবং একাধিক লক্ষণ একইসাথে আপনাকে আঘাত করলে এটি শক্তি হ্রাস করতে পারে। অতএব, রক্ত প্রবাহ হ্রাসের কারণে পেশী ব্যথা অনুভূত হওয়া করোনাভিরের সাধারণ লক্ষণ হতে পারে।

পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া

এটি শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম লক্ষণ হিসেবে বলা হয়েছে। তবে বড়দের ক্ষেত্রেও এমন লক্ষণ দেখা গেছে। এমনটি হলে তা করোনাভাইরাসে হালকা আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ। সংক্রমণটি ঘটে যখন রক্ত প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হয় এবং রক্ত জমাট বাঁধে বা ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি করে। এরকমটা হয়ে সেরে গেছে মানে আপনি ইতিমধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন।

সেরা নিউজ/আকিব

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360