নিজস্ব প্রতিবেদক:
চলতি বছর প্রথম ছয় মাসেই রেকর্ড সংখ্যক মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব থেকে নিজেদের নাম তুলে নিয়েছেন। সিএনএন জানায়, রোববার (০৯ আগস্ট) নিউইয়র্ক ভিত্তিক ফার্ম ব্যামব্রিজ অ্যাকাউন্ট্যান্টসের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালের প্রথম ছয় মাসে ৫ হাজার ৮শ’ আমেরিকান নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। ২০১৯ সালে এর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৭২ জন। যা উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই ট্যাক্স ফার্মটি জানিয়েছে, তারা নাগরিকত্ব পরিহার করা সব আমেরিকানদের নামের সরকারি তথ্য খতিয়ে দেখার পর এমন পরিসংখ্যান বেরিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রতি তিন মাস অন্তর এ বিষয়ক তথ্য প্রকাশ করে। ব্যামব্রিজ অ্যাকাউন্ট্যান্টসের অংশীদার অ্যালিস্টার ব্যামব্রিজ সিএনএন-কে বলেছেন, যারা এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েছেন এবং সবকিছুই যথেষ্ট পাওয়া হয়ে গেছে, এই মনে করে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে যা ঘটছে, মহামারি যেভাবে সামাল দেওয়া হচ্ছে সেটি নিয়ে এবং এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক নীতির বিষয়ে মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। ব্যামব্রিজের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশের কারণেই অনেক মানুষ নাগরিকত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এছাড়া করের বোঝা দিনকে দিন বাড়তে থাকায় আরেকটি অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বিদেশে বসবাসরত মার্কিন নাগরিকদের প্রতিবছর ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করতে হয়। বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, বিনিয়োগ ও পেনশনের হিসাবও দিতে হয় যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে। এই নাগরিকদের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ১২শ’ ডলারের চেক এবং সন্তানপ্রতি ৫শ’ ডলারের চেক পাওয়ার অধিকার থাকলেও করের বার্ষিক প্রতিবেদন দেয়াটা বাড়াবাড়ি বলেই মনে করেন তারা।
এদিকে, যেসব আমেরিকান নাগরিকত্ব ছাড়তে চান তারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান না করে থাকলেও যেদেশে রয়েছেন সেখানকার আমেরিকান দূতাবাসে হাজির হয়ে ২ হাজার ৩৫০ ডলার জমা দিতে হয়। যা অনেকটা বোঝা বলে অভিহিত করে থাকেন অনেকে।
মার্কিন নাগরিকত্ব ছাড়ায় ঝুঁকি থাকলেও এই ধারা সামনের দিনগুলোতে কেবলই বাড়বে বলে মনে করছেন অ্যালিস্টার ব্যামব্রিজ। তিনি বলেন, আগামী নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে অনেক মানুষ। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও নির্বাচিত হলে নাগরিকত্ব ছাড়ার নতুন ঢেউ দেখা দিতে পারে।
সেরা নিউজ/আকিব