না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর - Shera TV
  1. [email protected] : sheraint :
  2. [email protected] : theophil :
না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর - Shera TV
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন

না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন স্বাধীনতা ও একুশে পদক প্রাপ্ত প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর। শনিবার (১৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

তার মেয়ে মুনীর বশীর সাংবাদিকদের জানান, শনিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। জোহর থেকে আসরের মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে মুর্তজা বশীরকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। বাবা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।

প্রখ্যাত চিত্রশিল্পীর মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোক। অতীত কিংবা বর্তমানকে বিশ্বাস করতেন না মুর্তজা বশীর। তার বিশ্বাস ছিল ভবিষ্যতে। তিনি বলতেন মৃত্যুর পরও বেঁচে থেকে সময়কে অতিক্রম করতে পারাই জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। সেই অর্জনের পেছনেই হয়ত তাড়িত হয়ে একজন মুর্তজা বশীর বৃত্তাবদ্ধ হননি শুধু চিত্রশিল্পী পরিচয়ে। ভাষা সংগ্রামী মুর্তজা বশীর ছিলেন একাধারে কবি, গল্পকার, ঔপন্যাসিক। এমনকি চলচ্চিত্র অঙ্গনেও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

উপমহাদেশের প্রখ্যাত ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ঘরে জন্ম নেয়া ছেলেটির নাম রাখা হলো আবুল খায়ের মুর্তজা বশীর উল্লাহ। কিন্তু বাবার নামে পরিচিত হতে চায় না ছেলেটি। তাই বড় হয়ে নিজের নাম রাখলেন মুর্তজা বশীর।

যদিও বাবার মৃত্যুর পর বশীর লিখলেন, অসাধারণ এক স্মৃতিকথা। যার নাম ‘বাবা ও আমি’। ১৯৩২ সালে জন্ম নেয়া বশীর ৪৯ সালে ভর্তি হন বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে। তবে তা ছবি আঁকার তাড়নায় নয়, কমিউনিষ্ট পার্টির নির্দেশে দলীয় একটি সেল তৈরী করতে।

যদিও জয়নুল আবেদীনের সেই ছাত্রটি পরবর্তীতে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে বের হন। এরপর শিল্পকলায় উচ্চতর শিক্ষার জন্য চলে যান ইতালিতে। এর আগে লড়াইএ নামেন ভাষা আন্দোলনে। আঁকতে থাকেন, আন্দোলনের দুর্দান্ত সব কার্টুন এবং ফেস্টুন।

১৯৭৩ থেকে ৯৮, টানা ২৫ বছর শিক্ষকতা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায়। এরপরের ১২ বছর আঁকেন শতাধিক ছবির একটি সিরিজ। যার নাম বশীর দি উইংস।

শুধু রং তুলি নয় সাহিত্যক্ষেত্রেও রেখেছেন অবদান। চিত্রশিল্পে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদকসহ বহু জাতীয়-আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন গুনি এই শিল্পী।

আমরা চোখের সামনে যা দেখতে পাই, সেটাইতো সব নয়। অন্তর্লোকে যা থাকে তাইতো সারবস্তু। একজন বশীর তার তৃতীয় নয়ন দিয়ে সেই অদেখাকে দেখতে পান, তিনি আলোকিত করেন নিজেকে দেশকে আর ভবিষ্যত প্রজন্মকে। তাঁকে অতল শ্রদ্ধা।

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360