কি ছিলো সিনহার ল্যাপটপে? - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
কি ছিলো সিনহার ল্যাপটপে? - Shera TV
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৫ অপরাহ্ন

কি ছিলো সিনহার ল্যাপটপে?

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২০

বিশেষ প্রতিবেদক:
কোথায় সেই ল্যাপটপ? যে ল্যাপটপের হার্ডডিস্কে টেকনাফে ধারণ করা নানা দৃশ্য সংরক্ষণ করে রাখা
ছিল। ইউটিউব চ্যানেল জাস্ট গো’র জন্য ধারণ করা কি ছিল সেসব দৃশ্যে। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যাকাণ্ডের পর নীলিমা রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে পুলিশ এ ল্যাপটপ নিয়ে যায়। নীলিমা রিসোর্টের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ সেখানে অভিযান চালাচ্ছে এবং ল্যাপটপসহ আরো কিছু জিনিস নিয়ে যাচ্ছে। অথচ এরপর থেকেই সেই ল্যাপটপের হদিস নেই। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সিনহার এ ল্যাপটপে কি এমন দৃশ্য সংরক্ষণ করা আছে যার কারণে গোটা ল্যাপটপটিই গায়েব হয়ে যায়? মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, সিনহার যে ল্যাপটপ ও হার্ডডিস্ক ছিল সেগুলোতে অনেক ডকুমেন্ট ছিল। সেগুলো কী উদ্দেশ্যে গায়েব করা হলো তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।

ওদিকে চলতি বছরের ৭ মাসে পাঁচবার টেকনাফ গিয়েছিলেন সিনহা।

গত বছরও তিনি সেখানে গিয়েছিলেন একাধিকবার। এতে ওই এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। বিষয়টি পরিবারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। মেরিন ড্রাইভে গুলির ঘটনার পর নীলিমা রিসোর্টে অভিযান চালায় পুলিশ। আর সে সময় ল্যাপটপসহ আরো কিছু জিনিস পুলিশ নিয়ে আসে। সেগুলো কোথায় রয়েছে তা আজ পর্যন্ত কেউ জানাতে পারেনি। এ ব্যাপারে তদন্তকারীরা তদন্ত করছে বলে সূত্র জানিয়েছে। ঘটনার সময় সিনহার গাড়িতে সিফাতও ছিলেন। সিনহাকে গুলি করার পর সিফাতকে কেন পুলিশ গুলি করেনি? তাহলে কি সিনহাকে গুলির বিষয়টি পূর্ব পরিকল্পিত? তদন্তকারীদের কাছেও বিষয়টি পূর্ব পরিকল্পিত মনে হচ্ছে। এ মামলার আসামি পুলিশের কথিত সাক্ষী আয়াজ উদ্দিন, নুরুল আমিন ও নিজাম উদ্দিনসহ ৭ আসামিকে গতকাল শুক্রবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে র‌্যাব।

অন্য আসামিরা হলো- কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন এবং এএসআই লিটন মিয়া। আদালত তাদের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। পুলিশের তিন সাক্ষী র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে যে, পুলিশের আদেশেই তারা পুলিশের দায়ের করা মামলায় সাক্ষী হয়েছেন। তাদের সাক্ষী হওয়াতে বাহাড়ছড়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকতের চাপ ছিল। র‌্যাব জানিয়েছে, এদের জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াও পর্যায়ক্রমে অন্য সাক্ষীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

গত ৩১শে জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা। এ ঘটনায় নিহতের বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমারসহ ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ গতকাল দুপুরে জানান, ‘আদালতের আদেশে পুলিশের ৩ সাক্ষীকে শুক্রবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস জানান, সিনহা চলতি বছরেই ৫ বার কক্সবাজারের টেকনাফে গিয়েছিলেন। এতে তার সেখানে অনেক ফ্রেন্ড তৈরি হয়েছিল। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।

সিনহা হত্যাকাণ্ডের মূল মোটিভ বের করতে চায় তদন্তকারী সংস্থা। পরিচয় দেয়ার পরও কেন তাকে গুলি করা হলো তা অনুসন্ধান করছে তারা। এ ছাড়াও সিনহা বর্ডার গার্ড এবং একাধিক চেকপোস্ট পার হওয়ার পরও এপিবিএনের চেকপোস্টে কেন পরিদর্শক লিয়াকত তাকে গুলি করলো? এর কারণ উদ্‌ঘাটনে কাজ করছে তারা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, তদন্তকারী কর্মকর্তারা মামলার মূল মোটিভ উদ্‌ঘাটনে কাজ করছে। এ ছাড়াও জেলার এসপি সিনহার পরিচয় জানার পরও কেন তিনি বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজালেন তাও তদন্তের আওতায় এনেছেন তারা।

সূত্র জানায়, ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে সিনহার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় মদ, ইয়াবা ও অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। পরে বাহাড়ছড়া থানার পরিদর্শক লিয়াকত নিজ উদ্যোগে পুলিশের দায়ের করা মামলায় মারিশবুনিয়ার বাসিন্দা এবং স্থানীয় পুলিশের সোর্স বলে পরিচিত আয়াজ উদ্দিন, নুরুল আমিন ও নিজাম উদ্দিনকে সাক্ষী বানানো হয়। তারা সাক্ষী হওয়ার পর এলাকায় প্রচার করেছেন যে, একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা পুলিশের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। তার কাছ থেকে মদ, ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360