পরিকল্পনা প্রস্তুত, যেকোনো সময় আসতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষনা - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : sheraint :
  3. [email protected] : theophil :
পরিকল্পনা প্রস্তুত, যেকোনো সময় আসতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষনা - Shera TV
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৩১ অপরাহ্ন

পরিকল্পনা প্রস্তুত, যেকোনো সময় আসতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষনা

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৯ আগস্ট, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনার কারণে ১৭ মার্চ থেকে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো বন্ধ রয়েছে সারাদেশের ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও। কবে এসব প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে যখনই খুলে দেওয়া হোক না কেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বেঁধে দেওয়া শর্তাবলি প্রতিপালন করে বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার জন্য একটি পরিকল্পনা (স্কুল রি-ওপেনিং প্ল্যান) তৈরি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, করোনার আগের মতো আর প্রতিদিন প্রতিটি বিষয়ের ক্লাস নেওয়া হবে না। রুটিন সংকুচিত করা হবে। স্কুলে ঢুকেই সব শিশুকে হাত ধুতে হবে। স্কুল মাঠে খেলাধুলা সীমিত করা হবে। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার পর পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান কার্যক্রম চালানোর জন্য মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের জন্য নানা নির্দেশও রয়েছে। এতে বিদ্যালয়ের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, শিশুস্বাস্থ্য ও করোনা প্রতিরোধমূলক নানা নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, স্কুল খুলে দেওয়ার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুখে মাস্ক পরা, হাত পরিস্কার, থার্মোমিটার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে। প্রতিদিন সব বিষয়ের ক্লাস হবে না। কবে কোন বিষয়ের ক্লাস হবে তা শিক্ষক ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির (এসএমসি) সদস্যরা নির্ধারণ করবেন। আলাদাভাবে তিনটি ক্যাটাগরিতে ৫০টির বেশি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিদিন ক্লাস পরিচালনা করা হবে এ পরিকল্পনা অনুযায়ী। করোনাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া স্বাস্থ্যবিধিগুলো অনুসরণ করে এসব নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে।
এ পরিকল্পনার নির্দেশনাগুলো চূড়ান্ত করতে গতকাল মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সিনিয়র সচিব মো. আকরাম আল হোসেনের সভাপতিত্বে এক সভা হয়। সেখানে এ পরিকল্পনার খসড়ায় নানা সংযোজন-বিয়োজন করা হয়েছে। পরে আরেকটি সভা করে এটি চূড়ান্ত করা হবে। এরপর এ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের অনুমোদনের পর তা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা করে এ সংক্রান্ত প্রচার শুরু করা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম আল হোসেন মঙ্গলবার তার কার্যালয়ে সমকালকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান পরিচালনা করতে তারা একটি পরিকল্পনা তৈরি করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে করোনা পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় পরিচালনার দিকনির্দেশনা তৈরি করা হচ্ছে। সবাইকে এসব বাধ্যতামূলকভাবে মেনে চলতে হবে।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আগের মতো আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালিত হবে না। বিদ্যালয় খোলার ১৫ দিন আগে থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রস্তুতি শুরু করা হবে।
এ পরিকল্পনার খসড়ায় দেখা গেছে, বিদ্যালয় খোলার সরকারি নির্দেশনা দেবার পর নূ্যনতম ১৫ দিন আগে শিক্ষক, কর্মচারী এবং বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির (এসএমসি) সদস্যদের উপস্থিতিতে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বিদ্যালয়কে পরিচ্ছন্ন ও ক্লাস নেওয়ার উপযোগী করে তুলতে হবে। পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। স্কুলের গেটে বা প্রবেশের স্থানে হাত ধোয়ার জন্য সাবান ও পানির ব্যবস্থা করতে হবে। থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মেপে সবাইকে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করানো হবে।
স্কুল রি-ওপেনিংয়ের পাঠ্যক্রম পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, আগের মতো ক্লাসে এক বেঞ্চে তিন বা চারজন শিক্ষার্থী বসতে পারবে না। দূরত্ব বজায় রেখে পাঠদান করা হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এক বেঞ্চে দু’জন শিক্ষার্থীকে বসাতে হবে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আগের মতো আর সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস হবে না। একটি স্তরে সপ্তাহে দুই বা তিন দিন অথবা প্রতিদিন দুই-তিনটি ক্লাস নেওয়া হবে। তবে ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে চতুর্থ শ্রেণিকে বেশি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ পাঠ্যক্রম নির্বাচন করে কোন দিন কোন বিষয়ের ক্লাস নেওয়া হবে তা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও এসএমসির সদস্যদের নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।

বিদ্যালয় চলাকালীন করণীয় হিসেবে এ পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে উপচেপড়া ভিড় করে খেলাধুলা, আড্ডা-গল্প করতে পারবে না। সামাজিক দূরত্ব রেখে হাঁটা-চলা করতে হবে। নোটিশ বোর্ডে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যোগাযোগ নম্বর লিখে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় তাকে চিকিৎসা দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) আলমগীর মুহম্মদ মনসুর উল আলম বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে অনেক অভিভাবক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠাতে চাইবে না। তাই পরিস্থিতি ভালো হলেই স্কুল খুলে দেওয়া হবে। তারপরও শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ৫০টির বেশি দিকনির্দেশনামূলক গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। বিদ্যালয় খোলার ঘোষণা এলে তা বাস্তবায়ন শুরু হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান পরিচালনা করা হবে।
তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের জন্য তৈরি দিকনির্দেশনাগুলো সবার কাছে পৌঁছে দিতে ফেসবুক, অনলাইন, ওয়েবসাইট, গণমাধ্যমসহ সকল মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালানো হবে। এতে অভিভাবকরা তাদের সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠাতে আগ্রহী হবেন। করোনাকালীন বার্ষিক উন্নয়ন বাবদ অর্থ দিয়ে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে নির্দেশ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

 

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360