তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়ান্দারা অত্যন্ত তৎপর বলে জানা যাচ্ছে। শুক্রবার মুম্বাই পৌঁছে সকালেই সুশান্ত-কাণ্ডের প্রধান প্রত্যক্ষদর্শী সুশান্তের রাঁধুনি নীরজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।পাশাপাশি গতকাল মুম্বাই পুলিশের কাছ থেকে সুশান্তের ব্যক্তিগত ডায়েরি, কেস ফাইল, তিনটি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সুশান্ত হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত যে ৫৬ জনের বক্তব্য রেকর্ড করেছে মুম্বাই পুলিশ, সেটাও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
এই মৃত্যুর তদন্ত এখন যতটা এগিয়েছে, ‘মূল অভিযুক্ত’ হিসেবে নাম উঠে এসেছে সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর। বলিউড মাফিয়াদের কথাতেই নাকি ছক কষে সুশান্তকে হত্যা করেছেন রিয়া, এমন অভিযোগও উঠে এসেছে।
পাশাপাশি, সুশান্তের অ্যাকাউন্ট, তাকে ওষুধ খাওয়ানো, কাজের লোককে তাড়িয়ে দেওয়া, সুশান্তের সব কিছুতে রিয়ার আধিপত্যের অভিযোগও উঠেছে। সুশান্তের বাবা কে কে সিং আলাদা করে রিয়ার নামে বিহার পুলিশের কাছে অভিযোগ করার পর বিহার পুলিশ আলাদা করে মামলা নিয়ে মুম্বাইয়ে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল।
জানা গেছে, সুশান্তের সঙ্গে রিয়ার সম্পর্ক নিয়ে তেমন খুশি ছিল না রাজপুত পরিবার। সুশান্তের পরিবারের অভিযোগ, তার অ্যাকাউন্ট থেকে নাকি ১৫ কোটি টাকা হাতিয়েছেন রিয়া। এসবের জেরে সুশান্তের শেষকৃত্যেও রিয়াকে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল তার পরিবার।
যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন নায়িকা রিয়া। একাধিক লোকের বক্তব্য এবং যেহেতু সুশান্তের সঙ্গে শেষে সবচেয়ে বেশি সময় রিয়া থাকতেন, সে কারণে রিয়াকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
জানা গেছে, বলিউডের একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি রিয়াকে সহযোগিতা করছেন এবং প্রমাণ লোপাটের ক্ষেত্রেও হাত রয়েছে রিয়ার। সুশান্তের মৃত্যুকে স্বাভাবিক আত্মহত্যার ঘটনা এখনই মেনে নিতে চায় না সিবিআই। একে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হিসেবে এবং গভীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে এমন সূত্রের খোঁজেই রিয়াকে গ্রেপ্তারের কথা ভাবছেন গোয়েন্দারা। কারণ সুশান্তের প্রেমিকা রিয়ার নাম রয়েছে সন্দেহভাজনের তালিকায় সবার উপরে। সূত্র : এই সময়।
সেরা নিউজ/আকিব