অনলাইন ডেস্ক:
আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ১৯ হাজার কর্মী আগামী অক্টোবরের মধ্যে চাকরি হারাচ্ছেন। করোনা মহামারিতে বিমান ভ্রমণ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ায় মার্কিন বিমান পরিবহন সংস্থাটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় মার্কিন সরকার এয়ারলাইন্সগুলোর বেতন পরিশোধে সহযোগিতা স্কিম সম্প্রসারিত করেছে।
১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ এয়ারলাইন্সটি স্বাভাবিক সময়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে প্রতিদিন ৬ হাজার ৮শ’ ফ্লাইট পরিচালনা করে। ৫০টি দেশের সাড়ে ৩শ’ গন্তব্যে এ এয়ারলাইন্সটির বিমান চলাচল করে। সংস্থাটি বছরে গড়ে ২০ কোটি যাত্রী পরিবহনে ভূমিকা রেখে আসছে।
বিমান সংস্থাটি বলছে, আগামী অক্টোবরে এয়ারলাইন্সটিতে ১ লাখের কম কর্মী কাজ করবে। অথচ করোনা মহামারি শুরুর দিকে গত মার্চে সংস্থাটির কর্মী সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪০ হাজারের মতো। অক্টোবরের মধ্যে ১১ হাজার কর্মী স্বেচ্ছায় তাদের কর্মস্থল ত্যাগ করবেন। এরই মধ্যে গত মার্চ থেকে সাড়ে ১২ হাজার কর্মী স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন আর আগামী অক্টোবরের মধ্যে ১৯ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে।
চলতি বছরের শেষ ৩ মাসে সক্ষমতার ৫০ ভাগ নিয়ে যাত্রী পরিবরহন করতে পারবে বলে আশা করছে আমেরিকান এয়ারলাইন্স। গত বছরের তুলনায় এ বছর আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের সংখ্যা ২৫ ভাগ কম হবে বলেও জানিয়েছে বিমান পরিবহন সংস্থাটি।এরই মধ্যে সংস্থাটি সরকারের বেতন সহায়তা তহবিল থেকে ৫.৮ বিলিয়ন ডলার নিয়েছে। এবং যাত্রী কম থাকায় অভ্যন্তরীণ ছোট ছোট ১৫টি এয়ারপোর্ট থেকে তাদের সেবা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ডগ পার্কার ও প্রেসিডেন্ট রবার্ট আইসম কর্মীদের এক বার্তায় জানিয়েছেন, সব সম্ভাবনার জন্যই আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ ধরে নিতে হবে সরকার আবারও এভিয়েশন খাতকে সহায়তার জন্য পথ বের করতে পারবে না।
করোনা মোকাবিলায় কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে আন্তর্জাতিক অন্যান্য এয়ারলাইন্সও। গত মাসেই আরেক মার্কিন বিমান পরিবহন সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স জানিয়েছে তাদের ৩৬ হাজার কর্মী চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। জার্মানির বৃহৎ বিমান সংস্থা লুফথানসা ২২ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। আর ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে বৃটিশ এয়ারওয়েজ।
সূত্র: বিবিস
সেরা নিউজ/আকিব