লাইফস্টাইল ডেস্ক:
অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের কারণে অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্যা বংশানুক্রমিক। কয়েকটি ঘরোয়া উপায় আছে যেগুলোর মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দীর্ঘস্থায়ী উপকার পাওয়া সম্ভব। আসুন এ বিষয়ে জেনে নিন।
লেবু
লেবু বা লেবুর রস কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খুবই কার্যকরী। এক গ্লাস গরম পানিতে অর্ধেক লেবুর রস দিয়ে দিন। এর সঙ্গে আধা চা চামচ লবণ এবং সামান্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এটা পান করুন। দ্রুত ফল পেতে সন্ধ্যায় আরেকবার পান করুন এই মিশ্রণ। কিছুদিনের মধ্যেই ফল পাবেন।
মধু
মধু উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন একটি ভেষজ তরল। কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে মধু খুবই উপকারী। দিনে তিনবার দুই চা চামচ করে মধু খান। আপনি চাইলে এক গ্লাস গরম পানির মধ্যে মধু ও লেবুর রস মিশিয়েও খেতে পারেন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এটি পান করুন। কিছু দিনের মধ্যে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। তবে হ্যাঁ, ডায়াবেটিস রোগীরা মধু খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
আঙ্গুর
প্রতিদিন অর্ধেক বাটি আঙ্গুর বা অর্ধেক গ্লাস আঙ্গুরের রস পান করুন। যদি বাড়িতে আঙ্গুর না থাকে বা আঙ্গুর খেতে ভালো না লাগে, তাহলে দু চামচ কিশমিশ জলেতে ভিজিয়ে রাখুন সারা রাত। কিশমিশসহ এই পানি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। দেখবেন কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দ্রুত দূর হয়ে যাবে।
পালং শাক
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন পালং শাক। এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। আপনি চাইলে এটি সালাদের মতো করেও খেতে পারেন বা রান্না করেও খেতে পারেন। যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা খুব বেশি জটিল আকার ধারণ করে তাহলে পালং শাকের রস বানিয়ে অর্ধেক পানির সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন ২ বেলা নিয়ম করে খেয়ে নিন। দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
ক্যাস্টর অয়েল
ক্যাস্টর অয়েল শুধু ত্বক বা চুলের যত্নে ব্যবহার হয় না, এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও খুবই কার্যকরী। সকালে খালি পেটে এক বা দুই চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল খান। আপনি চাইলে ফলের রসের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন। কয়েক ঘন্টার মধ্যে আপনি পরিবর্তন দেখতে পাবেন। তবে দীর্ঘদিন এটি খাবেন না। অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।