স্পোর্টস ডেস্ক:
এক খেলোয়াড়ের দলবদল নিয়ে লিগ কর্তৃপক্ষের ঘটা করে বিবৃতি দেওয়ার ঘটনা ফুটবলে বিরলই। লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ছাড়তে চাওয়ার মাহাত্ম্য বোধ হয় এতোটাই বেশি যে লা লিগা কর্তৃপক্ষকে শেষ পর্যন্ত বিবৃতিই দিতে হলো। ৩০ আগস্ট দেওয়া বিবৃতি অবশ্য মেসির পক্ষে যায়নি। তারা বলছে মেসিকে অন্য কেউ কিনতে চাইলে বার্সেলোনাকে তার রিলিজ ক্লজ ৭০০ মিলিয়ন ইউরো পরিশোধ করে এরপরই দলে নিতে হবে।
বিবৃতে বলা হয়েছে, “এফসি বার্সেলোনার সাথে খেলোয়াড় লিওনেল আন্দ্রেস মেসির চুক্তি নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ব্যাখ্যা প্রদান করেছে। (তাদের মধ্যে কিছু ব্যাখ্যা পরস্পর বিরোধী) লালিগা এই বিষয়টি স্পষ্ট করে জানাতে চায় খেলোয়াড়ের সাথে তার ক্লাবের চুক্তি:
মেসির সঙ্গে বার্সার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২১ সালে। ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত এই চুক্তির একটি পক্ষ হিসেবে ছিল লা লিগাও। ফলে তাদের বিবৃতির পর কাতালান জায়ান্টদের জন্য মেসিকে ধরে রাখার সুযোগ তৈরি হলো। অন্যদিকে মেসি ও তার আইনজীবীরা বড় ধাক্কা খেলেন।
গত মঙ্গলবার বুরোফ্যাক্সের (প্রত্যায়ন পত্র) মাধ্যমে ক্যাম্প ন্যু ছাড়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন মেসি। সেই বুরোফ্যাক্সে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, চুক্তিতে যে ক্লজ আছে যা তাকে মৌসুম শেষে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ক্লাব ছাড়ার সুযোগ দিয়েছে, সেটা প্রয়োগ করতে চান। কিন্তু বার্সার দাবি, এই ক্লজের মেয়াদ গত ১০ জুন শেষ হয়ে গেছে। ফলে যেতে হলে ৭০০ মিলিয়ন ইউরো দিতে হবে।
তবে মেসির আইনজীবীদের যুক্তি, করোনা মহামারির কারণে এবার মৌসুম শেষ হয়েছে দেরিতে। তাহলে ক্লজের মেয়াদ শেষ হয় কীভাবে? কিন্তু লা লিগার বিবৃতির পর বিষয়টা আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। এদিকে মেসি নিজে এখনো মুখ খোলেননি। কিন্তু বার্সার অনুশীলন শুরুর আগে তিনি বাধ্যতামূলক পিসিআর টেস্টে হাজির না হয়ে উদ্দেশ্য পরিষ্কার করে দিয়েছেন। এমনকি তিনি সোমবার (৩১ আগস্ট) দলের অনুশীলনেও হাজির থাকবেন না জানা গেছে।
সেরা নিউজ/আকিব