হাতে বিসমিল্লাহ্‌ লেখা থাকায় হাতে কেটে দিল কট্টর দুর্বৃত্তরা - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
হাতে বিসমিল্লাহ্‌ লেখা থাকায় হাতে কেটে দিল কট্টর দুর্বৃত্তরা - Shera TV
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৬ অপরাহ্ন

হাতে বিসমিল্লাহ্‌ লেখা থাকায় হাতে কেটে দিল কট্টর দুর্বৃত্তরা

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

হাতে ট্যাটুতে লেখা ছিল ৭৮৬। যা দ্বারা মূলত ‘বিসমিল্লাহ’ বুঝানো হয়। এই ট্যাটুর কারণে ভারতের পানিপথে ইখলাখ সালমানি নামের এক যুবকের হাত কেটে দিয়েছে কট্টর দুর্বৃত্তরা। ইখলাখের ভাই এমন অভিযোগ জানিয়েছেন। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।

ইখলাখের ভাই বলেন, ‘হাতে উল্কি করে বিসমিল্লাহ লিখেছিল। কল্পনাতেও ভাবতে পারেনি, এই কারণে হাতটাই কেটে ফেলবে ওরা। ও জাতিতে মুসলিম শুনেই ওর হাতটা কেটে দেয় ওরা।’

২৮ বছর বয়সী ইখলাখ পেশায় নাপিত। লকডাউনে কাজ নেই তাই গত ২৩ আগস্ট সাহারানপুর থেকে দুই চেনা ব্যক্তির সঙ্গে পানিপথে রওনা হন। ৩৩ কিলোমিটার চলার পর কৃষ্ণপুর অঞ্চলের মাথাগোজার ঠাঁই না পেয়ে আশ্রয় নেন এক পার্কে। রাতের অন্ধকারে তার নাম পরিচয় জানতে চায় দুই যুবক। অভিযোগ, নাম বলতেই ব্যাপক মার খান তিনি। এখানেই শেষ নয়। অভিযোগ মারের চোটে দীর্ঘক্ষণ অচৈতন্য থাকার পর সামনের এক বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থাতেই পানি চাইতে যান তিনি। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস এমনই যে, সেই বাড়ির দরজা খোলে ওই দুই যুবকই। এবার আরেক প্রস্থ অত্যাচারের পালা। প্রাণভিক্ষা চেয়েও লাভ হয়নি। ইখলাখকে তুমুল অত্যাচার করে ওই দুই যুবক।

তাদের চোখে পড়ে ইখলাখের হাতে একটি ট্যাটুতে লেখা ৭৮৬। দেখেই ওই দুই যুবক সিদ্ধান্ত নেয় তার হাত কেটে দেওয়ার। ইখলাখকে ফেলে আসা হয় কিষাণপুর রেল স্টেশনের ধারে। পরদিন জ্ঞান ফিরতে ইখলাখ পথচারীদের সাহায্যে বাড়িতে খবর দেন।

অভিযোগ দায়ের করা হয় পানিপথের চাঁদনি বাগ স্টেশনে। ইখলাখের ভাইয়ের বক্তব্য, ‘আমার ভাইয়েক জীবনটা ধ্বংস হয়ে গেল। ওরা আমার হাতই কাটেনি। ওর সমস্ত স্বপ্ন মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। হয়তো কোনোদিনই আর কোনো কাজ করতে পারবে না ও। আমি এর বিচার চাই।’ তিনি জানিয়েছেন, ওই ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর থেকে ঘটনার সত্যতা জেনেছেন তিনি।

কিন্তু কেন এত বড় বর্বরতা! অভিযুক্তর বক্তব্য, তার ভাইপোকে নিগ্রহ করছিল ইখলাখ। হাতেনাতে তাকে ধরেন তিনি। যদিও তার হাত কাটেননি তিনি। ইখলাখ সত্যিই এ কাজ করেছে তার প্রমাণই বা কোথায়? মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখতে চাইলে ওই অভিযুক্ত বলেন, আামার কাছে এখন নেই, পরে দেখিয়ে দেবো। তারপর থেকে আর তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

আরও প্রশ্ন, যদি ইখলাখ এ কাজ করেই থাকেন তবে তার ব্যাপারে তড়িঘড়ি পুলিশে জানাননি কেন ওই ব্যক্তি? ৭ সেপ্টেম্বর পসকো ধারায় ইখলাখের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়। কেন এতদিন সময় নিলেন তিনি? ইতিমধ্যে ঘটনার বীভৎসতা নিয়ে তোলপাড় চলছে ভারতে ও সামাজিক মাধ্যমে।

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360