ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ চায় যুক্তরাষ্ট্র - Shera TV
  1. [email protected] : sheraint :
  2. [email protected] : theophil :
ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ চায় যুক্তরাষ্ট্র - Shera TV
শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন

ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ চায় যুক্তরাষ্ট্র

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

সেরা নিউজ ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ চায় যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন মনে করে প্রত্যেক রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিতে অবাধ এবং উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক জরুরি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর ভাষ্য মতে, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির মূল লক্ষ্য অবাধ, মুক্ত এবং পারস্পরিক বাণিজ্য। এতে উন্মুক্ত বিনিয়োগের পরিবেশ, সুশাসন, সমুদ্রে অবাধ চলাচলের সুবিধা থাকবে। এতে তারাই অংশ
নেবে এবং তারাই উপকৃত হবে যারা সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ চায়। ওই স্ট্যাটেজির প্রতি বাংলাদেশসহ যুক্তরাষ্ট্রের এ অঞ্চলের সব বন্ধু রাষ্ট্রের দৃঢ় সমর্থন তথা প্রতিশ্রুতি আদায়ে কাজ করছে ওয়াশিংটন। সামুদ্রিক ও আঞ্চলিক সুরক্ষা, বৈশ্বিক শান্তিরক্ষা এবং বাংলাদেশের সামরিক সামর্থ্যকে আধুনিকীকরণের উদ্যোগসহ সুনির্দিষ্ট দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা বিষয়ক অগ্রাধিকারগুলো নিয়েও বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠ আলোচনায় আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। পারস্পরিক স্বার্থ ও মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে প্রতিরক্ষা সম্পর্কও বাড়াতে চায় ওয়াশিংটন।

আর এসবই হবে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) এর আওতায়। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গত শুক্রবার টেলিফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ড. মার্ক টি এসপার। এ অঞ্চলের অন্য রাষ্ট্রগুলোর শীর্ষ পর্যায়ে যোগাযোগ বা আলোচনাও করে চলেছেন মার্ক টি এসপার।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস)-সহ এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির যেকোনো উদ্যোগ বা পরিকল্পনায় ঢাকার সায় রয়েছে। তা বিশ্বের যে সুপার পাওয়ারই প্রস্তাব করুক না কেন। বাংলাদেশ এরইমধ্যে চীন প্রস্তাবিত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে।

জাপান প্রস্তাবিত বিগ বি’তে সায় দিয়েছে বহু আগেই। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইনিশিয়েটিভের সঙ্গেও রয়েছে ঢাকা। ইন্দো-প্যাসিফিকের বিষয়েও বাংলাদেশ ইতিবাচক। ওই স্ট্র্যাটেজির বিষয়ে বিশদ জানতে ঢাকার আগ্রহ এবং অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কোন্‌ ফন্ট্রে কীভাবে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করতে চায়, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি তথা সমৃদ্ধির জন্য তারা কোথায় কি ধরনের বিনিয়োগে আগ্রহী? সে বিষয়ে স্পষ্ট হতে চায় বাংলাদেশ। বিষয়গুলো নিয়ে পররাষ্ট্র সচিব ও মন্ত্রী পর্যায়ে ওয়াশিংটনের আলোচনা হয়েছে।

এবার প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ঢাকা এখন কাজ করছে পরবর্তী অ্যানগেজমেন্টের বিষয়ে। এক কর্মকর্তা বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির বিভিন্ন ভাগ রয়েছে। সিভিল ফ্রন্টেই বাংলাদেশ থাকবে। সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালীকরণ এবং প্রশিক্ষণ সহায়তা বাড়ানোর বিষয়টিও ভাবনায় রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ে নিয়মিত ডিফেন্স ডায়ালগ হয়ে থাকে। ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির আওতায় কোনো সামরিক কর্মকাণ্ডে ঢাকা সম্পৃক্ত হতে আগ্রহী নয় জানিয়ে কর্মকর্তা বলেন, সামরিক খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার আওতা বাড়তে পারে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের নভেম্বরে ভিয়েতনাম সফরে ডনাল্ড ট্রাম্প প্রথম অবাধ এবং উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির বিষয়টি খোলাসা করেন। সেদিন তিনি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ৩৫ রাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, এ অঞ্চলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ দিনের বন্ধন। আমরা পরস্পরের বন্ধু, পার্টনার বা সহযোগী। সামনের দিনেও আমরা পরস্পরের বন্ধু, পার্টনার বা সহযোগী থাকবো। এটা বহুকাল ধরে চলবে। এই বন্ধনকে সুদৃঢ় করতেই এই স্ট্র্যাটেজি এমন ধারণা দিয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলছে, স্ট্র্যাটেজির আওতায় এ অঞ্চলের সার্বভৌম এবং স্বাধীন সব রাষ্ট্রের সমৃদ্ধি হবে সাইড বাই সাইড বা পর্যায়ক্রমে। এই স্ট্র্যাটেজির আওতায় বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের মার্কিন বন্ধুদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে।  এতে পার্টনার হিসাবে বড় বিনিয়োগ নিয়ে পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। স্মরণ করা যায়, এশিয়াতে সামরিক মনোযোগের লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে রি-ব্যালেন্সিং কৌশল নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে অবাধ এবং উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিচ্ছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট। যদিও এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা-পর্যালোচনা চলমান রয়েছে। বিভিন্ন জরিপে ওই স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে এশিয়া অঞ্চলে আমেরিকার প্রভাব বৃদ্ধি বা হ্রাসের বিষয়টি যুক্ত করে দেখানো হচ্ছে। ওই স্ট্র্যাটেজির ভবিষ্যৎ কী হবে? তা আগামী ৩রা নভেম্বর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্ধারিত হবে এমন আভাস দিয়ে বলা হচ্ছে- ট্রাম্প পুনর্নির্বাচিত হলে নিশ্চিতভাবে স্ট্র্যাটেজি বাস্তবায়ন জোরদার হবে। তবে তার প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন বিজয়ী হলে কী হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। সমালোচনা রয়েছে, এ অঞ্চলের চীন প্রভাব নিয়ন্ত্রণে রাখতেই যুক্তরাষ্ট্র এই স্ট্র্যাটেজি বা কৌশল নিয়েছে। যদিও ওয়াশিংটন আগাগোড়াই এটি নাকচ করে চলেছে।

 

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360