সেরা নিউজ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আর কয়েক সপ্তাহ বাকি। এর মধ্যেই দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক গিন্সবার্গের মৃত্যুর পর তার স্থলে নিয়োগ দেয়াকে কেন্দ্র করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সপ্তাহের মধ্যে কোনো নারীকে ওই পদে নিয়োগ দেবেন এমন ঘোষণা দেন। আর বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি চাচ্ছে নির্বাচনের পর ওই পদে বিচারক নিয়োগ দেয়।
এ নিয়ে দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন ও ট্রাম্পের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি।
২৯ সেপ্টেম্বর দুই প্রার্থীর সরাসরি বিতর্কের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের জনসংযোগ পরিচালক টিম মুর্তোফ বলেছেন, নিঃসন্দেহে সরাসরি বিতর্কে বিচারপতি নিয়োগের ইস্যুটি সামনে চলে আসবে।
এদিকে ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক হতে শুরু করেছে। ডেমোক্রেটিক পার্টির পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আবার অভিশংসন করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তবে ট্রাম্প এ দ্বিতীয় অভিশংসনকে স্বাগত জানিয়েছেন।
সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, সামনে এগিয়ে যান, আমি চাই তারা এটা করুক। আমি বিশ্বের একমাত্র পুরুষ একটি আসন পূরণের চেষ্টার জন্য অভিশংসন পেতে পারি।
তবে শুরু থেকেই ডেমোক্রেটিক পার্টি ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা গ্রহণের পর বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার পক্ষে। এ নিয়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন, কংগ্রেসের স্পিকার, সিনেটে ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা প্রতিদিনই বক্তব্য দিচ্ছেন।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বা অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বারের বিষয়ে অভিসংশনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। বিষয়টি নিয়ে এবিসি নিউজকে হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ট্রাম্পের অভিশংসেনের সম্ভাবনার বিষয়টি প্রত্যাখান করেছেন।
সেরা নিউজ/আকিব