একাকী কনডেম সেলে কেমন কাটছে মিন্নির দিন - Shera TV
  1. [email protected] : sheraint :
  2. [email protected] : theophil :
একাকী কনডেম সেলে কেমন কাটছে মিন্নির দিন - Shera TV
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:২২ পূর্বাহ্ন

একাকী কনডেম সেলে কেমন কাটছে মিন্নির দিন

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২ অক্টোবর, ২০২০

সেরা নিউজ ডেস্ক:

বরগুনার আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত (রিফাত শরীফ) হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে বরগুনা জেলা কারাগারে রাখা হয়েছে। সেখানে তিনি একাকী একটি কনডেম সেলে রয়েছেন। ওই সেলের পাহারায় রয়েছেন একজন নারী কারারক্ষী।

কারাগার সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানিয়েছে,  ফাঁসির দণ্ড পাওয়া নারী আসামিদের যে কনডেম সেলে রাখা হয়, বরগুনার এই জেলে এখন মিন্নি ছাড়া সেখানে আর কেউ নেই। কারণ ওই কারাগারে নারী বন্দিদের মধ্যে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত একমাত্র আসামি মিন্নি।

বুধবার রিফাত হত্যা মামলার রায়ে মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পরপরই আসামিদের কারাগার নেওয়া হয়।

কারাগার সূত্র জানায়, কারাগারে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট বন্দির সংখ্যা ছিল ৫১২ জন। তাদের মধ্যে ১৮ জন নারী বন্দি। রিফাত হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ছয় আসামি ছাড়া অন্য কোনো মামলার ফাঁসির আসামি বরগুনার কারাগারে নেই।

কারাগারের এক কর্মকর্তা জানান, কনডেম সেলে মিন্নি একা। ওই সেলের পাহারায় রয়েছেন একজন নারী কারারক্ষী। কারাবিধি অনুযায়ী ফাঁসির আসামি হিসেবে মিন্নিকে কয়েদির পোশাক দেওয়া হয়েছে। সাদা রঙের শাড়ির ওপর নীল স্ট্রাইপ রয়েছে। এটা সব নারী ফাঁসির আসামিদের দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী দুটি শাড়ি তাকে সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া তাকে দেওয়া হয়েছে একটি বালিশ ও কম্বল। আগে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের বালিশ দেওয়া হতো না। কারাবিধি অনুযায়ী তিনটি কম্বল দেওয়া হতো। তার মধ্যে একটি কম্বলকে বালিশ হিসেবে ব্যবহার করতেন আসামিরা। এখন একটি কম্বল কমিয়ে একটি বালিশ সরবরাহ করা হচ্ছে।

জেল সুপার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, কারাবিধি অনুযায়ী মিন্নি ছাড়া অন্য পাঁচ বন্দিকেই কনডেম সেলে থালা, বাটি ও কম্বল দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি আসামিকে কারাগারের পক্ষ থেকে দুই সেট পোশাক দেওয়া হয়েছে।

জেলা সুপার আরও বলেন, এই মুহূর্তে বরগুনা জেলা কারাগারে নারী বন্দিদের মধ্যে একমাত্র মিন্নিই কনডেম সেলে আছেন। এ ছাড়া রিফাত হত্যা মামলার অপর পাঁচ পুরুষ আসামিকেও কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। এই পাঁচ পুরুষ বন্দি ছাড়া বরগুনার কারাগারের কনডেম সেলে আর অন্য কোনো পুরুষ বন্দিও নেই।

কনডেম সেলের বন্দিরা কখনও কক্ষ থেকে বাইরে বের হতে পারেন না। এই বন্দিরা মাসে একবার তার স্বজনের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান। করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বজনের সঙ্গে বন্দিদের সাক্ষাৎ বন্ধ রয়েছে।

গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শাহ নেওয়াজ রিফাতকে নৃশংসভাবে ধারালো দা দিয়ে কোপানো হয়। হাসপাতালে তিনি মারা যান। পর দিন রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360