কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের দায় স্বীকার করল সকল আসামি - Shera TV
  1. [email protected] : sheraint :
  2. [email protected] : theophil :
কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের দায় স্বীকার করল সকল আসামি - Shera TV
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন

কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের দায় স্বীকার করল সকল আসামি

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৫ অক্টোবর, ২০২০

সেরা নিউজ ডেস্ক:

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার সকল আসামি নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। রোববার সর্বশেষ দুই আসামি তারেকুল ইসলাম তারেক ও মাহফুজুর রহমান মাসুমও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। চাঞ্চল্যকর এই মামলার ২ নম্বর আসামি তারেক ও ৬ নম্বর আসামি মাসুম আদালতে ঘটনার দিনে নিজেদের ভূমিকার বর্ণনা দেন। তরুণীকে ধর্ষণ করার আগে তারেক গাড়ি চালিয়ে এমসি কলেজের প্রধান ফটক থেকে ছাত্রাবাস পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিল। যে চারজন তরুণীকে ধর্ষণ করেছিল, তাদের মধ্যে তারেকও রয়েছে। সেই সময় মাসুমও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল বলে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে স্বীকার করেছে।

রোববার জবানবন্দি রেকর্ডের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দুই আসামি তারেক ও মাসুমকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়। মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, এই মামলায় সকল আসামি নিজেদের জড়িয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। মামলার তদন্তে যা ইতিবাচক দিক। এখন আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি যাচাই-বাছাইয়ের পাশাপাশি মামলা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা করা হবে। এছাড়া আসামিদের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টসহ কিছু ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতামতের ব্যাপার আছে। এসব পাওয়ার পর চূড়ান্ত পর্যালোচনা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।

রোববার দুপুর ২টার দিকে তারেক ও মাসুমকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে নিয়ে আসা হয়। এসময় তারা স্বীকারোক্তি দিতে আগ্রহ প্রকাশ করলে পৃথক আদালতে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় বলে জানিয়েছেন মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী। তিনি জানান, অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে আসামি তারেক ও মহানগর হাকিম (২য়) সাইফুর রহমানের আদালতে আসামি মাসুমের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এ সময় তারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান মহানগর আদালত পুলিশের এই কর্মকর্তা।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের কতিপয় কর্মী তাকে আটকে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করার অভিযোগে মামলা করেন স্বামী। এমসি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থানের সময় আসামিরা তাদের জোর করে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে শাহপরাণ থানায় দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয়। এই ঘটনায় র‌্যাব-৯, সিলেট, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত ৬ জনসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে। এদের প্রত্যেককে আদালতের নির্দেশে পাঁচদিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এছাড়া সংঘবদ্ধ ধর্ষণে অভিযুক্তদের ব্যাপারে তথ্য-প্রযুক্তিগত প্রমাণের জন্য তাদের প্রত্যেকের ডিএনএ টেস্ট করা হচ্ছে।

গত শুক্রবার সর্বপ্রথম নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম। এরপর শনিবার আইনুদ্দিন, রাজন মিয়া ও মাহবুবুর রহমান রনি আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়। এদের মধ্যে মাহবুবুরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব রাজন ও আইনুদ্দিনকে গ্রেফতার করেছিল। আসামিরা জোর করে তরুণীকে ছাত্রাবাসে নিয়ে যাওয়ার আগে তারা একটি বাসায় অবস্থান করছিল বলে পুলিশের তদন্তে বেরিয়েছে। এছাড়া তরুণীর স্বামী বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্বীকার করেন, ‘বন্ধু’ আইনুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করার জন্য তারা এমসি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন।

এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য আসামিদের জবানবন্দি প্রদানসহ তদন্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

 

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360