লাইফস্টাইল ডেস্ক:
আপনার সঙ্গী সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে বারবার কথা দিয়েও রাখতে পারছে না? তাহলে ধরে নিন- সেই মানুষটির কমিটমেন্ট সমস্যা থাকতে পারে। কারণ কমিটমেন্ট ফোবিয়া ভোগা মানুষ বেশি গাঢ় সম্পর্কে জড়াতে চান না। কেমন যেন এড়িয়ে চলেন সব বিষয়ই! অথবা এড়িয়ে চলতে সবকিছুতেই অজুহাত খোঁজেন। আপনার সঙ্গীও কি এমনটাই? এমন হলে কিছু লক্ষণ দেখে সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার সঙ্গী কমিটমেন্ট ফোবিয়ায় ভুগছে।
ভারতীয় প্রভাবশালী গণমাধ্যম এনডিটিভি মেডিকেল ডিরেক্টর, সিনিয়র গাইনোকোলজিস্ট এবং কোকুন ফার্টিলিটির আইভিএফ বিশেষজ্ঞ ডা. রাজলক্ষ্মী ওয়ালাভালকরের বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়ে তাদের প্রতিবেদনে এমন তথ্যই তুলে ধরেছে।
কোনও সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি
এরা বেশিদিন কারোর সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চান না কিংবা পারেনও না। সম্পর্কে এদের ভীষণ ভয়। তাই সম্পর্ক গড়ার সময় তার স্থায়ীত্ব নিয়েও কথা দিতে চান না। মনোযোগী থাকেন না সঙ্গীর কথাতেও। এমন দেখলে এদের সঙ্গে সম্পর্কে না জড়ানোই ভালো।
ঘন ঘন আচরণ বদলানো
এরা কখনই কথা বলতে গেলে ‘করব, বলব, হবে, দেব’ এই সমস্ত শব্দগুলো ব্যবহার করেন না। বরং বলেন- ‘হতে পারে, হয়ত, দেখব, দেওয়া যাবে কিনা ভাবব’ ইত্যাদি এই ধরনের কথা। অর্থাৎ এদের কথাতেই মনের ভেতর প্রতিফলিত হওয়া শব্দই বলেন। এরা জোর দিয়ে কিছু বলেন না। সবেতেই যেন গা-ছাড়া ভাব। সবকিছু এড়াতে অজুহাত খোঁজেন এরা।
নিজের দোষ দেখেন না
সম্পর্কে স্পেস খোঁজেন সবসময়। নিজেদের ভুল কখনই দেখতে পান না বা দেখতে চান না। অন্যের ভুল ধরতে সিদ্ধহস্ত থাকেন।
ভবিষ্যত ভবির হাতে
কোনও পরিকল্পনায় যেতে আগ্রহী নন। এরা ডেটিংয়েও ভয় পান। ভবিষ্যতে সম্পর্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, আলোচনা করতে বা বলতে নারাজ। এবিষয়ে কথা উঠলেই থামিয়ে দেন এরা।
দূরত্ব পছন্দ করেন
এরা খুব কম লোকের সঙ্গে মিশতে পারেন। তাই চট করে পার্টি করতে বা গেট টুগেদারে যেতে রাজি হন না। একাকীত্ব এদের বেশি পছন্দ। বড় জোর একজন বা দু’জন বন্ধুর সঙ্গে এরা কথা বলতে পারেন বা ভালোবাসেন।
কমিটমেন্ট ফোবিয়া মানুষ এবং সম্পর্কের ওপর খুবই মারাত্মক প্রভাব ফেলে। সামাজিক সমস্যারও সৃষ্টি করে। তবে ডা. রাজলক্ষ্মী ওয়ালাভালকর বলছেন- আশার কথা হলো এই ধরনের ফোবিয়া সমস্যার চিকিৎসা রয়েছে এবং দ্রুত সমাধানও সম্ভব।
সেরা নিউজ/আকিব