সেরা নিউজ ডেস্ক:
টানা সাড়ে ৬ মাস বন্ধ থাকার পর সশরীরে ক্লাসের অভিপ্রায়ে স্কুল খোলার একদিন পরই মঙ্গলবার আবারো নিউইয়র্ক সিটির ৩ শতাধিক স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হল। ব্রুকলীন এবং কুইন্সের অর্থডক্স জুইশ অধ্যুষিত এলাকার এসব স্কুলের পাশাপাশি রেস্টুরেন্ট, অত্যাবশ্যকীয় নয়-এমন ব্যবসা-বাণিজ্যও বন্ধের আহবান জানিয়েছিলেন সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাসিয়ো। কিন্তু স্টেট গভর্ণর এ্যান্ড্রু ক্যুমো শুধুমাত্র ২০০ প্রাইভেট এবং একশত পাবলিক স্কুলে আজ মঙ্গলবার থেকে ছুটি ঘোষণা করলেন। এই ৯টি জিপকোড এলাকায় করোনা সংক্রমণের হার স্টেটের গড় ৩ শতাংশ চেয়ে বেশী। এই সিটিতে ১১ লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রীর জন্যে ১৫ শতাধিক পাবলিক স্কুল রয়েছে। অপর স্কুলগুলোতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস চালানো হচ্ছে।
সিটি মেয়র অফিস থেকে জানা গেছে, এলাকাগুলো হচ্ছে ফার রকোওয়ে/এজমিয়ার নিয়ে গঠিত ১১৬৯১ জিপ কোড, বরো পার্ক -১১২১৯ জিপ কোড, গ্র্যাভসেন্ট/হোমক্রেস্ট-১১২২৩ জিপ কোড, মিডউড-১১২৩০ জিপ কোড, বেনসনহার্স্ট/ম্যাপেলটন-১১২০৪ জিপকোড, ফ্ল্যাটল্যান্ড্স/মিডউড-১১২১০ জিপ কোড, গেরিটসেন বীচ/হোমক্রেস্ট/শীপশেডবে-১১২২৯ জিপ কোড, কিউ গার্ডেন-১১৪১৫ জিপ কোড এবং কিউ গার্ডেন্স হিলস/পমোনক-১১৩৬৭ জিপ কোড। জানা গেছে, নিউইয়র্ক সিটিতে গড় সংক্রমণের হার হচ্ছে ১.৫%। অপরদিকে এই ৯টি জিপ কোডে গড় হার হয়েছে ৩ শতাংশ এর ওপর। মধ্যমার্চ থেকে জুন পর্যন্ত এই সিটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৪ হাজার মানুষ মারা গেছে। সেই ভয়ংকর একটি পরিস্থিতি থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পথে জুইশ সম্প্রদায়ের মানুষদের বেপরোয়া আচরণে পুনরায় সকলের মধ্যে গভীর শংকা দেখা দিয়েছে।
এসব স্কুলের শিক্ষার্থীরা পুনরায় অনলাইনে ক্লাস করবে নিজ নিজ বাসায় থেকে। দু’সপ্তাহে যদি সংক্রমণের হার ৩ শতাংশ এর নীচে নামে তাহলে আবারো স্কুলগুলো খোলার অনুমতি দেয়া হবে বলে গভর্ণরের অফিস জানায়।
অপরদিকে, সিটিতে মাস্ক না পরলে জরিমানা ৫০ ডলার করে আদায়ের কঠোর নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ব্যবসা, রেস্টুরেন্টে প্রবেশাধিকার নেই মাস্ক না পরলে। একইভাবে বাস-সাবওয়েতেও মাস্ক ছাড়া কাউকে উঠতে দেয়া হচ্ছে না। টহল পুলিশ দেখলেই ৫০ ডলারের জরিমানার টিকিট ধরিয়ে দিচ্ছে মাস্ক ছাড়া লোকজনকে। রেস্টুরেন্টের ভেতরে মাস্ক ছাড়া কিংবা সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখার ঘটনা ঘটলেই কমপক্ষে হাজার ডলারের জরিমানাসহ ব্যবসার লাইসেন্স খোয়া যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
সিটি অফিসের তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিনই লক্ষাধিক লোকের করোনা টেস্টের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। সকলকে টেস্ট করার অনুরোধ রয়েছে। এজন্যে কোন ফি লাগছে না। এছাড়াও বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণের কার্যক্রমও চালানো হচ্ছে করোনার প্রকোপ পুনরায় বেড়ে যাওয়া এলাকায়।
সেরা নিউজ/আকিব