এসেক্সে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ চীনের উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের বলে ধারনা করা হচ্ছে। গত বুধবার লন্ডনের এসেক্সে শহরে ৩৯টি মৃতদেহসহ একটি ট্রাক উদ্ধার করে দেশটির স্থানীয় পুলিশ। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত শহরজুড়ে।উল্লাস মুখর শহরটি কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় আতঙ্কে। বন্ধ কন্টেনারে কাদের লাশ? তার এল কোথা থেকে? কেনই এই ধরনের নারকীয় পরিস্থিতিতে প্রাণ দিতে হল হতভাগ্যদের? উঠছে এমন প্রশ্নই।
গতকাল বৃহস্পতিবার লন্ডনের বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে উদ্ধার হওয়া ৩৯ মরদেহ চীনা নাগরিকদের। এদিকে আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, কেউ কেউ দাবি করছেন নিহতরা সবাই চীনের উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের লোক।
লন্ডন পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হয়েছি যে, মৃতদের আটজন নারী এবং ৩১ জন পুরুষ। তারা সবাই চীনের নাগরিক বলে মনে করা হচ্ছে। চীনের সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ খবর নিশ্চিত করেছে। চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এখন আর কিছু জানা যায়নি।
লন্ডনের পূর্বাঞ্চলের গ্রেইস শহরে পরিত্যক্ত একটি লরি থেকে বুধবার স্থানীয় সময় দুপুরে ৩৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। বুধবার নৌকায় বেলজিয়াম থেকে লন্ডনের গ্রেতে পৌঁছেছিলেন ওই চীনারা। এসেক্সের পুলিশ বলছে, তাদের তদন্তের প্রাথমিকভাবে জোর দেয়া হয়েছিল লরি থেকে উদ্ধারকৃতদের পরিচয় শনাক্ত করা। লরি থেকে লাশ শনাক্তের জন্য টিলবুরির কাছে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়।