স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ সভাপতি বরখাস্ত - Shera TV
  1. [email protected] : sheraint :
  2. [email protected] : theophil :
স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ সভাপতি বরখাস্ত - Shera TV
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২৪ পূর্বাহ্ন

স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ সভাপতি বরখাস্ত

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০

রংপুর ব্যুরো:

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণ ও ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে ‘কুরুচিপূর্ণ’ ভাষায় ব্যঙ্গ করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালের অভিযোগে জেলা রংপুর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনিকে সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তবে দলীয় নীতি-আদর্শ ও শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজে জড়িত থাকায় রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকি রনিকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় কমিটি।

এদিকে রনিকে অব্যাহতি দেয়ার পর রংপুর জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সুমন সরকারকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

গত ৬ সেপ্টেম্বর রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় ওই স্কুল শিক্ষিকা ছাত্রলীগ নেতা রনির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে জানা যায়, রংপুর নগরীর কেরানীপাড়া মহল্লার তরুণী একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ২০১৭ সালে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। রনির বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাজিতপুর ফতেহপুর গ্রামে। তার বাবার নাম আবু বক্কর। পরিচয়ের পর থেকে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

স্কুল শিক্ষিকা জানায়, রনি তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকা, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় কাজের কথা বলে ১৮ লাখ টাকা নিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এরপরও বিয়ে করার কথা বললে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেন। পরে তার বন্ধু-বান্ধব ও স্বজনদের চাপে ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল মেয়েটিকে নীলফামারীতে বিয়ে করার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজল কুমারের বাসায় নিয়ে গিয়ে ভুয়া কাজী এনে আমাকে বিয়ে করেন। এরপর ওই রাতে তাদের বাসর হয়।

স্কুল শিক্ষিকার অভিযোগ, বিয়ের পর তাকে রনির বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বললে নানান টালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এর মধ্যে রনি ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে ৬ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করায় আর ছাত্রলীগ করা হয়তো সম্ভব হবে না। সে কারণে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে ২০ লাখ টাকার দরকার। সেই টাকা তাকে জোগাড় করে দেয়ার জন্য চাপ দিলে টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি প্রদান করে।

এদিকে স্কুল শিক্ষিকা রনিকে বিয়ে করার জন্য আবার চাপ সৃষ্টি করলে চলতি বছরের ৫ জুন তাদের কেরানীপাড়ার বাসায় আসে। সেখানে রাত্রিযাপন করে এবং তাকে ধর্ষণ করে। কথা দেয় তাকে স্ত্রীর অধিকার ফিরিয়ে দেবে, বাসায় নিয়ে যাবে। কিন্তু বিভিন্ন টালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।

তিনি অভিযোগ করেন, উল্টো রনি তাকে সরে যাবার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। সে হুমকি প্রদান করে তার হাত অনেক লম্বা প্রশাসন তার কথামতো চলে। এ ধরনের নানান হুমকি-ধমকি দিতে থাকে।

গত ১২ জুলাই রংপুর নগরীর গণেশপুর ক্লাব মোড় এলাকায় রনির ফুফুর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বলে তার সঙ্গে কোনো বিয়ে হয়নি রেজিস্ট্রি হয়নি, কোনো কাবিননামাও সম্পাদিত হয়নি। এরপর তার সহযোগীদের দিয়ে তাকে তার ফুফুর বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

পুরো বিষয়টি লিখিত আকারে আবেদন নিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করলে তাকে থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়। বাধ্য হয়ে থানায় হাজির হয়ে লিখিত এজাহার দায়ের করেন বলে জানান তিনি। ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি হিসেবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিয়ে করার মিথ্যা প্রলোভনে দিনের পর দিন ধর্ষণ করার বিচার দাবি করেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৮ ডিসেম্বর রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে মেহেদী হাসান রনিকে সভাপতি, রাকিবুল হাসান কাননকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা ছাত্রলীগের এক বছর মেয়াদি কমিটি গঠন করা হলেও অবৈধভাবে ৬ বছর ধরে রনি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বলে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অভিযোগ করেন।

 

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360