স্পোর্টস ডেস্ক:
বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেন ঠিক নতুন বলের বোলার নন। নতুন বলে তাকে কমই আক্রমণে দেখা গেছে। বরং পুরনো হলেই বল তুলে দেওয়া হয় তার হাতে। স্লগ ওভারেও অধিনায়কের পছন্দ রুবেল হোসেন। তবে নতুন বলে তাকে খারাপ বলার উপায় ছিল না। করোনা পরবর্তী বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে রুবেল সেটা আবার দেখালেন।
সোমবার তামিমদের দলের টপ অর্ডার পেস বোলিং দিয়ে ধসিয়ে দিয়েছেন রুবেল হোসেন। শুরুতে তিনি তুলে নেন তরুণ ওপেনার তানজিদ তামিমকে। এরপর অধিনায়ক তামিম ৯ রান তুলতেই কাটা পড়েন আবু হায়দারের বলে। পরেই আনামুল হক বিজয়কে তুলে নেন মাহমুদুল্লাহর দলের রুবেল। তানজিদ তামিম এবং আনমুল স্কোর বোর্ডে একরান করে যোগ করতে পারেন। ইনিংসের শুরুতেই রুবেলের তৃতীয় শিকার হয়ে ২ রান তুলে ফিরে যান মোহাম্মদ মিঠুন। ১৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে তামিমের দল।
রুবেল শুধু এ ম্যাচেই নয়, নতুন বল হাতে নিয়ে প্রতিপক্ষের টপ অর্ডার তছনছ করে দিচ্ছেন প্রায় প্রতি ম্যাচেই। ব্যতিক্রম কেবল প্রথম ম্যাচটা। নাজমুল একাদশের বিপক্ষে রুবেল হোসেন কোন উইকেট পাননি। তবে রানটা চেক দিয়েছিলেন। কিন্তু পরের দুই ম্যাচেই নতুন বলে চমক দিয়েছেন তিনি।
দ্বিতীয় ম্যাচে তামিমদের বিপক্ষে রুবেল শুরুতেই তুলে নেন ৩ উইকেট। শুরুতে তামিমকে ফেরান ২ রানে। এরপর মোহাম্মদ মিঠুন কোন রান না করেই রুবেলের বলে ফিরে যান। ১৮ বলে ২৭ রান করা তানজিদ তামিমও শিকার হন রুবেলের প্রথম স্পেলের বিধ্বংসী বোলিংয়ের। ওই ম্যাচে রুবেল মাত্র ৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৬ রানে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট।
পরের ম্যাচে নাজমুলদের বিপক্ষেও নতুন বলে আবার ঝলক দেখান রুবেল হোসেন। উইকেট নেন ৩টি। তার মধ্যে শুরুতেই নাজমুলদের টপ অর্ডার খোঁড়া করে দেন তিনি। রুবেল হোসেনের পেসের ফাঁদে শুরুতে পড়েন সৌম্য সরকার। ৮ রানে বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান বোল্ড হয়ে ফিরে যান। এরপর ৩ রান করেই রুবেলে পরাস্ত হন নাজমুল শান্ত। তিনিও বোল্ড হন।
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পরে সমকালের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রুবেল হোসেন বলেছিলেন, ‘রুবেল শেষ হয়ে গেছে একথা বলার সময় এখনও আসেনি।’ বাগেরহাটের পেসার সেটারই প্রমাণ দিচ্ছেন দুর্দান্তভাবে। ওটিস গিবসনের বোলিং আক্রমণের বড় অংশ সেটার জানান দিচ্ছেন। মাশরাফি পরবর্তী জাতীয় দলের সিনিয়র পেসার হিসেবে তরুণ পেস বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব দেওয়ার আভাস দিচ্ছেন।
সেরা নিউজ/আকিব