করোনা ভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে চাঙ্গা হচ্ছে চীন - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
করোনা ভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে চাঙ্গা হচ্ছে চীন - Shera TV
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন

করোনা ভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে চাঙ্গা হচ্ছে চীন

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০২০

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
সরকারি হিসাব অনুযায়ী করোনা ভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে ক্রমশ সমৃদ্ধ হচ্ছে চীনের অর্থনীতি। চীন হলো বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থনীতির দেশ। সেখানে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে শতকরা ৪.৯ ভাগ। এটা নির্ধারণ করা হয়েছে গত বছরের একই সময়ের সঙ্গে তুলনা করে। অর্থনীতিবিদরা আগেই বলেছিলেন, সেখানে প্রবৃদ্ধি শতকরা ৫.২ ভাগের নিচে থাকবে। বর্তমানে দেশটি তার জাতীয় প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে বৈশ্বিক ক্ষতি পুনরুদ্ধারের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এসব কথা বলা হয়েছে অনলাইন বিবিসির এক প্রতিবেদনে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রথম এ বছরের শুরুতে আঘাত হানে চীনে।

এ কারণে সেখানকার অর্থনীতি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে শতকরা প্রায় ৫ ভাগের কাছাকাছি প্রবৃদ্ধি অর্জন খুব কম কথা নয়। এ বছরের প্রথম তিন মাসে চীনের অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয় শতকরা ৬.৮ ভাগ। কারণ, ওই সময়ে দেশজুড়ে দেয়া হয়েছিল শাটডাউন। কলকারখানা সব ছিল বন্ধ। অবশেষে সোমবার তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির তথ্য প্রকাশ করা হয় । এতে বলা হয়, আস্তে আস্তে আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠছে চীন, যদিও বিশেষজ্ঞরা চীনের এমন আর্থিক ডাটার যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। হংকংয়ে আইএনজি-এর চীনা প্রধান অর্থনীতিবিদ আইরিস পাং বলেছেন, আমি মনে করি চীন যে সংখ্যা প্রকাশ করেছে তা খুব খারাপ নয়। চীনে কর্মসংস্থান আসলেই স্থিতিশীল, এর ফলে প্রচুর ভোক্তা চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে চীনে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক বেশি। রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৯.৯ ভাগ। গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ১৩.২ ভাগ। গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে চীনের গড় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শতকরা প্রায় ৯ ভাগ। যদিও তা ধীর গতিতে অগ্রসর হয়েছে। এ বছর একদিকে করোনা মহামারির কারণে চীনের প্রবৃদ্ধি অর্জন বিঘিœত হয়েছে, তেমনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারা কয়েক মাস ধরে বাণিজ্যযুদ্ধে লিপ্ত। এসব বিষয় তাদের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলেছে।
এর মধ্যে এ বছরে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে চীন সরকার। সরকারের পলিসিতে এ বছর দ্রুততার সঙ্গে সমর্থন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ মাসের শুরুতে চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং সতর্ক করেছেন যে, পুরো বছরের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য পূর্ণমাত্রায় চেষ্টা করতে হবে। এ বছরের দ্বিতীয় চতুর্ভাগে সেখানকার অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৩.২ ভাগ। টোকিওতে দাই-ইচি লাইফ রিসার্স ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়োশিকিয়ো শিমামিন বলেছেন, চীনের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পর্যায়ে রয়েছে। এর নেপথ্যে রয়েছে আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার একান্ত প্রচেষ্টা। তবে আমরা বলতে পারি না যে, তারা এরই মধ্যে পুরোপুরিভাবে সেখানে ফিরতে পেরেছে।
চীনে অক্টোবরে পালিত হয় ‘গোল্ডেন উইক’। এ সময়টাকে সেখানকার অর্থনীতির জন্য একটি চাঙ্গা সময় বলে ধরা হয়। কারণ, এ সময়ে লাখ লাখ চীনা সফর করে থাকেন। ফলে অর্থের লেনদেন বেড়ে যায়। আবার সেই উৎসব দেখতে আন্তর্জাতিক পর্যটকরা চীনে যান। তবে এবার সেই পর্যটকদের জন্য সফর ছিল মারাত্মকভাবে বিধিনিষেধে আটকা। বিদেশে যাওয়ার পরিবর্তে লাখ লাখ চীনা নাগরিক নিজেদের দেশের ভিতরেই ভ্রমণ করেছেন। তাদের অর্থ খরচ করেছেন। ফলে এতে আন্তর্জাতিক বা বাইরের কোনো দেশের পর্যটকের অর্থ এসে যোগ হয়নি। এ বছর গোল্ডেন উইকে আট দিনের ছুটিতে ৬৩ কোটি ৭০ লাখ ট্রিপ দিয়েছেন পর্যটকরা। তা থেকে সরকার পেয়েছে ৫৩৮০ কোটি পাউন্ড রাজস্ব। হাইনান প্রদেশে শুল্কমুক্ত বিক্রি গত বছরের তুলনায় দ্বিগুনেরও বেশি ছিল।

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360