সেরা নিউজ ডেস্ক:
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে লাশ হলেন ফরিদা খাতুন (৩৫) নামে এক নারী।
শনিবার উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের হামলাকোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফরিদা খাতুন একই ইউনিয়নের নগরডালা গ্রামের বাবর আলীর মেয়ে।
এ ঘটনায় রোববার দুপুরে নিহতের ছেলে ফরিদ আলী বাদী হয়ে প্রেমিক আব্দুল মজিদসহ (৩০) পাঁচজনকে আসামি করে শাহজাদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
অন্য আসামিরা হলেন- আব্দুল মজিদের বাবা সওদাগর আলী (৬০), মা মজিদা বেগম (৫৫), ভাই আইয়ুব আলী (২৫) ও স্ত্রী শ্রাবন্তী (২০)।
এ বিষয়ে নিহতের ভাই ইউসুফ আলী জানান, এক সন্তানের জননী তালাকপ্রাপ্ত ফরিদা খাতুন তার একমাত্র ছেলে ফরিদ আলীকে (১৮) সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। আব্দুল মজিদের বাড়ি বাবার বাড়ির পাশেই হওয়ার সুবাদে তার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি টের পেয়ে ১ বছর আগে মজিদকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করায়।
এরপরও মজিদ গোপনে ফরিদার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে বিয়ের প্রতিশ্রতিতে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে ফরিদা গর্ভবতী হয়ে পড়ায় বিয়ের জন্য চাপ দেয়। মজিদ এ বিয়েতে রাজি না হওয়ায় শনিবার দুপুরে নদীতে গোসলের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে বিয়ের দাবিতে মজিদের বাড়িতে গিয়ে ওঠে।
এ সময় মজিদের স্ত্রী, বাবা, মা, ভাই মিলে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এক সময় ফরিদা নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাকে ভ্যানে করে পোতাজিয়ায় অবস্থিত শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে তারা হাসপাতালে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ফরিদার পরিবার পুলিশে খবর দিলে পুলিশ রোববার দুপুরে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনার পর থেকে প্রেমিক মজিদসহ সব আসামি পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি শাহিদ মাহমুদ খান বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সেরা নিউজ/আকিব