সেরা নিউজ ডেস্ক:
আইএ্যাম জো বাইডেন, আই এ্যাপ্রুভ দিস ম্যাসেজ। গাড়িতে রেডিও’র নব ঘুরালেই বা ঘরে টেলিভিশনের রিমোট অন করলেই এখন মার্কিন নাগরিকরা শুনছেন বাইডেন বা ট্রাম্পের কাতর কন্ঠ । ভোট প্রার্থনার আকুতি। নির্বাচনী ডামাডোলে একাকার যুক্তরাষ্ট্র। বাতাসে উড়ছে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার। কোন দলের কত বেশি তহবিল রয়েছে মার্কিন মিডিয়া তা প্রচার করছে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে। রেডিও-টিভির ব্যবসা রমরমা। দলগুলো দ্রুত বদলাচ্ছে রণ কৌশল।
তহবিলের দিক দিয়ে বাইডেন ট্রাম্পের চেয়ে অনেক এগিয়ে। বাইডেনের নির্বাচনী তহবিলের ব্যাংক একাউন্টে রয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের চাইতে ঢের বেশি ডলার। বাইডেন ক্যাম্পেইন কোভিড-১৯ কে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রধান অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে এখন। করোনায় ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর জনগণ তিক্ত বিরক্ত। এই মহৌষধ নির্বাচনে কাজ দেবে এমনটাই মনে করছে বাইডেন শিবির। প্যান্ডামিক শুরুর পর থেকে গত ২৪ অক্টোবর কেবল ২৪ ঘণ্টায় ৮৪ হাজারের উপর রেকর্ড সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। অনেক রাজ্যে হাসপাতালে বেডের সংকট দেখা দিয়েছে। বাইরে অস্হায়ী টেন্ট তৈরী করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে।
ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় ২ লক্ষ ২৮ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের চীফ অব স্টাফ মার্ক শর্টসহ অন্তত আরো ৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
ট্রাম্প শিবিরও বসে নেই। প্রতিপক্ষ বাইডেনকে ঘায়েল করতে বেছে নিয়েছে ফসিল ফুয়েল বা জীবাশ্ম জ্বালানীর বিষয়। বাইডেন ক্যাম্পেইনে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যোগ করছেন নতুন মাত্রা। পেন্সিলভ্যানিয়া, ফ্লোরিডা, নর্থ ক্যারোলিনার মতো ব্যাটালগ্রাউন্ড রাজ্যে ঘুরে ঘুরে তিনি বক্তব্য দিয়ে উজ্জীবিত করছেন নতুন ও আফ্রিকান-আমেরিকান ভোটারদের। কোভিড-১৯ কে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে করোনাকে শান দিচ্ছে ডেমোক্রেটরা। ফ্লোরিডায় এক সমাবেশে ওবামা বলেছেন, ট্রাম্প আমাদের কিভাবে সুরক্ষা দেবেন। তিনিতো নিজেকে রক্ষায়ই ব্যর্থ।অতিমারি সামাল দিতে তিনি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। এই বোঝা আরো ৪ বছর আমেরিকার জনগণ বহন করতে পারবে না।
অন্যদিকে ট্রাম্প বলছেন, বাইডেনের জ্বালানী নীতি বাস্তবায়ন হলে এক কোটি মানুষ বেকার হয়ে পড়েবেন পেন্সিলভ্যানিয়া ও টেক্সাসে।
গত ২২ অক্টোবর বিতর্কে বাইডেন মুখ ফসকে বলে ফেলেন তিনি নির্বাচিত হলে জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার কমিয়ে আনবেন ক্রমান্বয়ে। পরিবর্তে গ্রীণ এনার্জি অথাৎ সৌরশক্তি ও উইন্ডমিলের মতো প্রযুক্তির দিকে মনোযোগ দেবেন। এর মাধ্যমে বিশাল কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি হবে। ট্রাম্প এটাকে ইস্যু বানিয়ে বাইডেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে চাইছেন বিশেষ করে পেন্সিলভ্যানিয়ায়। তবে এই অপপ্রচার খুব একটা কাজ দেবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা।
সেরা নিউজ/আকিব