লাইফস্টাইল ডেস্ক:
অনেকেই হাঁটু ব্যথা সমস্যায় ভোগেন। এতে হাঁটু ভাঁজ করে বসতে কিংবা চলতে ফিরতে সমস্যা হয়। আর বয়স হলে তো এমনিতেই এ সমস্যা বাড়ে। তখন হাঁটু ক্ষয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। তখন হাঁটতে বা সিঁড়ি ভাঙতে বেশ অসুবিধে হয়। হাঁটু ব্যথার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যেমন-
১. অনেকেরই জন্মগত কারণে পায়ে নানারকম অসুবিধে থাকে। এরপর কোনও কারণে সংক্রমণ হলে, চোট লাগলে বা আঘাত লাগলে সেখান থেকে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার আথ্রারাইটিস হলে কিংবা যদি কোনও কারণে টিউমার হয় সেখান থেকেও হাঁটুতে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২. অনেক সময় অস্টিয়ো আথ্রারাইটিসের ফলে হাড় এতটাই ক্ষয়ে যায় যে সামান্য ধাক্কাতেও ভেঙে যেতে পারে। সেই অবস্থাকে অস্টিয়োপোরোসিস বলে। পরে সেখান থেকে পায়ের পাতা ফোলা, হাঁটতে না পারা এসব অনেক সমস্যা হয়।
৩. এখন অনেকেই দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন। এক জায়গায় এতক্ষণ বসে থাকার ফলে সেখান থেকে বেশ কিছু সমস্যা যেমন- ঘাড়, কোমরের সমস্যা হয়। এছাড়া হাঁটু ক্ষয়ে যাওয়ারও সমস্যা দেখা দেয়। এতে হাঁটুর সাধারণ সংকোচন-প্রসারণ ক্ষমতাও নষ্ট হয়ে যায়। আর ব্যথা বাড়লেই সেই প্রভাব পড়ে দৈনন্দিন জীবনে। সেখান থেকে হঠাৎ করে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়। আর হাঁটু ব্যথা হলে সাধারণ চলাফেরা কমে যায়। তখন খুব সহজেই ওজন বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত ফিজিও থেরাপি, ওষুধের পরও যদি হাঁটু ব্যথা না কমে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তাদের মতে, হাঁটুর ব্যথা কমাতে ওজন কমানো জরুরি। পাশাপাশি শীত-গ্রীষ্ম বা বর্ষা সব ঋতুতেই হালকা গরম পানিতে গোসল করা উচিত।
এছাড়াও হাঁটু ব্যথা কমাতে আরও কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
১. তিন থেকে চার টুকরা বরফ তোয়ালেতে জড়িয়ে হাঁটুর ঠিক যে জায়গায় ব্যথা হচ্ছে, সেখানে ১০ থেকে ১৫ মিনিট চেপে ধরে রাখুন। এতে অনেকসময় ব্যথা কমে যায়। তবে খুব বেশি বরফ সেঁক দেওয়া ঠিক নয়। ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।
২. , খুব বেশি হলে ব্যথা হলে ঠান্ডা-গরম পানিতে পা ডোবাতে পারেন। হট ওয়াটার ব্যাগও ব্যবহার করতে পারেন।
৩. তিন থেকে ৪ চামচ অলিভ অয়েল গরম করে ব্যথার জায়গায় আলতো হাতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মালিশ করুন। দিনে দুই থেকে তিনবার এটা করলে ব্যথা অনেকটা কমে যাবে।
৪. দুধের সঙ্গে একচামচ আমন্ড বাদাম কুচি, আখরোট কুচি আর হলুদ দিয়ে ফুটিয়ে খান। বেশ কয়েকদিন এইভাবে খেলে হাঁটুর ব্যথা কমে।
৫. যে কোনও ব্যথার ক্ষেত্রে রসুন খুব ভালো। তাই সকালে খালিপেটে রসুন-মধু খান। কিংবা তরকারিতে বেশি রসুন দিন। এছাড়াও রসুন ভাজা দিয়ে ভাতও খেতে পারেন।
৬. আদাও ব্যথার জন্য ভালো। শুকনো মুড়ি খেলে সঙ্গে আদা খান। কিংবা আদা দিয়ে চা খান।
৭. নিয়মিত ব্যায়াম করুন। হাঁটুতে লাগবে এরকম জটিল ব্যায়াম করবেন না। বাড়ির বাইরে বেরনোর আগে অবশ্যই নিকাপ ব্যবহার করবেন। প্রতিদিন টানা ১৫ মিনিট হলেও হাঁটুন। হালকা ব্যায়াম করুন। দেখবেন অনেক সুস্থ থাকছেন।
৮. হাঁটুর কমানোর ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ওজন। কোনও মতেই ওজন বাড়তে দেবেন না। সঠিক ডায়েট করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ওজন বাড়লেই সমস্যা বাড়বে।
সেরা নিউজ/আকিব