স্পোর্টস ডেস্ক:
২০১৯ সালের ২৯শে অক্টোবর এক বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হন সাকিব। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এই একটা বছর সাকিবের জন্য সম্ভবত সবচেয়ে দীর্ঘ এবং কষ্টের। সাকিবের কষ্ট শেষ হয়েছে গতকাল। সাকিব আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন, আইসিসির নিষেধাজ্ঞার বেড়াজাল পেরিয়ে। ক্রিকেটে ফেরার এই আনন্দের সময় সাকিব এখন নিউইয়র্কে। বিদেশে থাকলেও সাকিব এই আনন্দে ফেরার সময়টা ঠিকই উপভোগ করেছেন প্রবাসীদের সঙ্গে। এদিন সাকিবের সম্মানে নিউইয়র্কে এক সংবর্ধনার আয়োজন করে শো-টাইম মিউজিকের কর্ণধার আলমগীর খান আলম।
এমন আয়োজনের জন্য সাকিব প্রবাসীদের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা জানান। ধন্যবাদ জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘এই করোনার সময়ে আমরা অনেকেই আমাদের পরিচিতজনদের হারিয়েছি।
আমি সবার আগে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। এই কঠিন সময়ে আমরা যারা এখনো সুস্থ আছি, তারা যেন সবাই সুস্থতার সঙ্গে থাকতে পারি সেজন্য যথাযথ বিধি বিধান মেনে চলতে হবে। এই দুযোর্গের সময়ে আমাদের যার যার যে দায়িত্বগুলো আছে সেগুলো যেন পালন করে চলতে পারি। নিজেরা যেন করোনায় আক্রান্ত না হই, আবার সেই সঙ্গে অন্য কাউকেও যেন আক্রান্ত না করি- তেমনই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আর এভাবেই আমরা এই যুদ্ধে জয়ী হতে পারি বলে আমি মনে করি। আপনারা যারা আজ এখানে এসেছেন তাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আলম ভাইকে বিশেষ ধন্যবাদ। যখনই আমি নিউইয়র্কে আসি, আপনাদের সবার সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। এটা আমার জন্য খুবই বড় একটা পাওয়া। আপনাদের আন্তরিকতা ও ভালবাসা সবসময় আমার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। আশা করছি এই আন্তরিকতা, ভালবাসা ও সমর্থন সবসময় আপনারা আমাকে ও বাংলাদেশ ক্রিকেটকে দেবেন। এভাবে আমরা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।’
নভেম্বরের মাঝামাঝি বিসিবি পাঁচ দল নিয়ে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। সেই টুর্নামেন্ট দিয়েই সাকিবের ক্রিকেটে ফেরার কথা। বিসিবির সেই টুর্নামেন্টে খেলতে সাকিব নভেম্বরের শুরুতে দেশে ফিরবেন বলে বিসিবি জানিয়েছে। নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘আগামী ১০ই নভেম্বর টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের দলগুলো অনুশীলন শুরু করবে। আর সাকিব যুকত্রাষ্ট্র থেকে একটু আগভোগে ফিরে নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টিন শেষে অনুশীলনে যোগ দেবে।’
এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞার কারণে সাকিব আল হাসানকে আগামী ১২ মাস পর্যবেক্ষণে রাখবে আইসিসি। এ সময় একই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়ালে সাকিবের শাস্তি বেড়ে যাবে। সাকিব আইসিসি’র পর্যবেক্ষণে থাকাকালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ভূমিকাটা কেমন হবে? এমন প্রশ্নে নির্বাচক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার বলেন, ‘আসলে এখানে প্রধান ভূমিকাটা সাকিবেরই। সে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। আমি নিশ্চিত সে এমন ভুল আর করবে না।’
আগামীর পরিকল্পনা জানিয়ে নিইইয়র্কে সাকিব বলেন, ক্রিকেটে ফিরতে হলে আমাকে দ্রুত দেশে ফিরতে হবে। এরপর বিসিবির সঙ্গে বসেই সবকিছু ঠিক করবো। ক্রিকেটে নিষিদ্ধ থাকলেও নিয়মিত বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও ক্রিকেট অপরারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বলে জানান বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই পোস্টার বয়।
সেরা নিউজ/আকিব