সেরা নিউজ ডেস্ক:
এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হতে পারেন মুসলিম ভোটাররা। বিশ্লেষকরা বলছেন, মোট জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশ হলেও দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে এবার মুসলিম ভোটাররা ভোটের ফলে বড় ব্যবধান গড়তে পারেন।
গ্রীষ্মে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার মার্কিন ইমিগ্রেশন পলিসি সেন্টারের এক জরিপে দেখা যায়, দোদুল্যমান দুই অঙ্গরাজ্য অ্যারিজোনা ও জর্জিয়ার বৃহৎ এক মুসলিম জনগোষ্ঠী আগের চেয়েও এবারের নির্বাচনে বেশি আগ্রহী। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দুই অঙ্গরাজ্যে ১ লাখ ২০ হাজার মুসলিম ভোট দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মুসলমানদের ভোট দিতে আগ্রহী করতে এরইমধ্যে ‘মাই মুসলিম ভোটে’র প্রচারণা শুরু হয়েছে।
একজন বলছেন, ‘গত নির্বাচনে ইলহান ওমর ও অন্যান্য মুসলিম নেতারা জয়ী হয়ে প্রশাসনে জায়গা করে নিয়েছেন। মুসলিমদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড দেশজুড়ে বেড়েই চলেছে। এবার বড় একটা পরিবর্তন আশা করছি আমরা’।
মোট জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশ হলেও অ্যারিজোনা ও জর্জিয়ার পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডা, মিশিগান, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং পেনসিলভানিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখবে মুসলিম ভোটাররা। মুসলিম ভোটারদের অধিকাংশই ডেমোক্র্যাট সমর্থক।
২০১৮ সালের ভোটকাস্ট অনুযায়ী, প্রতি ১০ জন ভোটারের মধ্যেই আটজন ভোটার ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে ভোট সমর্থন দিয়েছেন। তাই এবারও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন।
মিশিগানে ২০১৬ সালের ডেমোক্র্যাটের প্রাইমারি নির্বাচনের মতো এবারের নির্বাচনেও ২ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মুসলিম ভোটার বড় ব্যবধান গড়তে পারেন। এবারও বর্ণবাদসহ বৈষম্যমূলক কর্মকাণ্ডের উপযুক্ত জবাব দিতে চান তারা।
তারা বলেন, ‘ভোট দেয়া আমাদের দায়িত্ব। আশা করি এবার আগের চেয়েও বেশি মুসলিম ভোটার ভোট দেবেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম ভোটদানে আগ্রহী হবে’।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অঙ্গরাজ্যগুলো মাথায় রেখেই মুসলিমদের পাশাপাশি সংখ্যালঘু অন্যান্য জনগোষ্ঠীর ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন ট্রাম্প ও জো বাইডেন।
সেরা নিউজ/আকিব