লাইফস্টাইল ডেস্ক:
সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর এই সময়ে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। কিন্তু এবার মৌসুম শেষে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫৯৫ জন। ডেঙ্গু থেকে রেহাই পেতে সবসময় মানুষকে সতর্ক করছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। মশা নিধন সহ বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে। এরপরেও ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে নিয়ম কানুনের পাশাপাশি খাবার দাবারে সতর্ক হতে হবে।
পেঁপের পাতার শরবত:
পেঁপের পাতার জুস ডেঙ্গু জ্বরের অন্যতম প্রতিকার। এই রস প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে। তাজা ও সতেজ পেঁপের পাতা কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখলে যে রস বের হবে তা দিনে দুবার পান করুন।
সবজির রস:
টাটকা সবজির রস প্রয়োজনীয় পুষ্টি সমৃদ্ধ। এটি আপনার পছন্দ মতো শাকসবজির মিশ্রণ দ্বারা প্রস্তুত করা যেতে পারে। রসের স্বাদ বাড়ানো ও ভিটামিন সি এর পরিমাণ বাড়াতে লেবুর রস ব্যবহার করুন।
হারবাল চা:
ভেষজ চা পুষ্টিতে ভরপুর এবং আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আপনি এলাচ, আদা, দারুচিনি চায়ের জন্য বেছে নিতে পারেন। ভেষজ চা এর সতেজ স্বাদ আপনার মনকেও সতেজ করে তোলে।
নিম পাতা:
নিম পাতা ওষুধি গুণাবলীতে ভরপুর এবং ডেঙ্গু রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। নিমের রস ভাইরাসের বৃদ্ধি ও বিস্তার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
হলুদ:
হলুদ এন্টিসেপটিক হিসেবে যাদুকরী ভূমিকা পালন করে। চিকিৎসকরা দুধে হলুদ দিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আপনি যদি হলুদ দুধ পছন্দ না করেন তবে হলুদ পানিও খেতে পারেন।
আমলকি:
আমলকি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। আমলকি প্লাটিলেট গঠনে সহায়তা করে। আমলকিতে অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা মনকে রাখে সতেজ ও অবসাদমুক্ত। সেই সাথে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে।
চিকেন স্যুপ:
মুরগির স্যুপ সর্দি এবং ফ্লুর লক্ষণগুলি কমাতে কাজ করে। এটি আপনাকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে সেই সাথে শরীর সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।
যেসব খাবার খাওয়া বারণ:
কিছু খাবার রয়েছে যা ডেঙ্গু জ্বরের জন্য খারাপ এবং খাওয়া উচিত নয়। তৈলাক্ত এবং ভাজা খাবার, ক্যাফেইন, কার্ব হাইড্রেট পানীয়, মশলাদার খাবার এবং উচ্চ ফ্যাটযুক্ত খাবার।
সেরা নিউজ/আকিব