বিনোদন ডেস্ক:
গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপন দিয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়া সেই ছোট্ট দীঘির কথা নিশ্চয়ই সবার মনে আছে। দীঘির নামের পাশে এখন নায়িকা শব্দটি যুক্ত হয়েছে। তিনি আর শিশুশিল্পী নেই। বেশকিছু ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন। নায়িকা হওয়ার পর তার কি কোনো পরিবর্তন এসেছে? দীঘি উত্তরে বলেন, খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। কারণ শুটিং জীবনটা আমার জীবনের সঙ্গে একদম বাঁধা। যেদিন প্রথম সেটে আসি, আমার সব চেনা মনে হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, এই তো ডিরেক্টর আমার চেনা, ক্যামেরাম্যান আমার চেনা, সবকিছু চেনা।
সেট, জায়গা আমার খুব ফ্যামিলিয়ার লাগছে, খুব ভালো লাগছিল। এদিকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এফডিসিতে ‘টুঙ্গিপাড়ার মিঞা ভাই’ নামে একটি ছবির শুটিংয়ের মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে যাত্রা শুরু করেন দীঘি। এ ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন নবাগত শান্ত খান। এ ছাড়াও আরো পাঁচটি ছবিতে অভিনয়ের কথা রয়েছে দীঘির। এরমধ্যে ‘ধামাকা’ নামে একটি ছবি পরিচালনা করবেন মালেক আফসারী। ‘যোগ্য সন্তান’ নামে আরেকটি ছবি নির্মাণের দায়িত্ব নিয়েছেন কাজী হায়াৎ। সবমিলিয়ে কেমন মনে হচ্ছে চলচ্চিত্র? দীঘি বলেন, আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি আমার সেরাটা দেয়ার। সিনিয়রদের কাছে শিখছি। আমি মনে করি শেখার শেষ নেই। এটা প্রতিনিয়ত চলবে।
নায়িকাদের নিয়ে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে প্রেম সংক্রান্ত গুঞ্জন তো হরহামেশাই হয়। এ ব্যাপারে খোলামেলা ভাবেই মুখ খুললেন দীঘি। বললেন, আমার নায়িকা হওয়ার বয়স মাত্র দুই মাস। সেপ্টেম্বরে শুটিং শুরু করেছি। এ ধরনের গুঞ্জন আসতে বছর খানেক লেগে যায়। এখনও আমার নামে এমন কিছু নিজেই শুনিনি। আপনারাও হয়তো শুনেননি। আসলে এসব নিয়ে ভাবছি না। সবে তো নায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করছি। কাজ নিয়েই ভাবতে চাই। আরো অনেক দূর যাওয়া বাকি। উল্লেখ্য, ‘চাচ্চু’, ‘দাদী মা’, ‘পাঁচ টাকার প্রেম’র মতো হিট ছবিতে অভিনয় করে চলচ্চিত্রে দর্শকদের মন জয় করে ছোটকালেই তারকা বনে যান দীঘি। সে সময় টানা ৩৬টি চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেন।
সেরা নিউজ/আকিব