গতকাল দেশের একটি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, কিছু খেলোয়াড় ভারত সফরে নাও যেতে পারেন। বিশেষ করে সাকিবের নাম আলাদা করেই বলেছেন বোর্ড প্রধান।
ভারত সফর সামনে রেখে গত শুক্রবার শুরু হয় জাতীয় দলের প্রস্তুতি ক্যাম্প। ক্যাম্পের প্রথম দিন সাকিব মাঠে ছিলেন না। অধিনায়ক ক্যাম্পে যোগ দেন দ্বিতীয় দিন। তৃতীয় দিন মিরপুরে ক্রিকেটাররা নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে খেলেছেন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। মাঠে থাকলেও সে ম্যাচে সাকিব খেলেননি। সোমবার সন্ধ্যায় শুরু দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচেও তিনি খেলছেন না।
কিছুদিন আগে ১১ দফা দাবিতে (পরে নতুন করে যোগ হয় আরও দুই দফা) শীর্ষ ক্রিকেটাররা যে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন, সেটার অগ্রভাগে ছিলেন সাকিব। পরে বোর্ড অধিকাংশ দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন ক্রিকেটাররা।
এর মধ্যেই আবার বিসিবির অনুমতি না নিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের সঙ্গে স্পন্সরশিপ চুক্তি করেন সাকিব। তার সেই চুক্তি সম্পূর্ণভাবে বেআইনী বলে সংবাদমাধ্যমে জানান বোর্ড প্রধান।
এরপর সাকিবের প্রথম দিনের ক্যাম্পে না থাকা কিংবা প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলা- সব মিলিয়ে গুঞ্জনটা আরও জোরালো হয়েছে- ভারত সফরে যাচ্ছেন তো সাকিব?
প্রশ্নটার উত্তর জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক ঘণ্টা। সোমবার সন্ধ্যায় বিসিবিতে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান জানালেন এমনটাই।
আকরাম খান জানিয়েছেন, তামিমের বদলি কিংবা সাকিবের ভারতে যাওয়া না-যাওয়া, সবকিছুই মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেবে বোর্ড।
চোট নিয়ে ১৫ সদস্যের টি-টোয়েন্টি দল থেকে আগেই ছিটকে গেছেন পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার বদলি দেয়নি বিসিবি। তামিমের বিকল্প হিসেবে অনুশীলন করছেন ইমরুল কায়েস। তবে ইমরুল তামিমের বদলি হিসেবে ভারতে যাচ্ছেন কি না, সেটা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি বোর্ড।