অনলাইন ডেস্ক:
গাঁজা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল জাতিসংঘ। এত দিন গাঁজাকে যে ধরনের মাদকের তালিকায় রাখা হতো, সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় গাঁজার প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। ২০১৯ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই বিষয়ে জাতিসংঘকে সিদ্ধান্ত নেয়ার আর্জি জানিয়েছিল বলে জানা গেছে।
গাঁজা সেবন অনেক দেশেই আইনতভাবে অপরাধ নয়। এমনই একটি দেশ ল্যাটিন আমেরিকার আর্জেন্টিনা। সেখানে চিকিৎসার জন্য গাঁজা আগে থেকেই বৈধ হলেও ব্যক্তিগত পছন্দে সেবনের জন্য গাঁজাকে ২০০৯ সাল থেকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের নারকোটিক ড্রাগ কমিশনে বুধবার ভোটাভুটি হয়। একটি দেশ সেখানে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। বাকি দেশগুলোর ভোটে ২৭-২৫ ফলাফল হয়। এতদিন ড্রাগের চতুর্থ শিডিউলে ফেলা হতো গাঁজাকে। ওই একই শিডিউলে হেরোইন, বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ড্রাগও রয়েছে। এই ধরনের ড্রাগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলে জানিয়ে দিয়েছে জাতিসংঘ।
কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৯ সালে জাতিসংঘকে জানিয়েছিল গাঁজাও ওই একই তালিকায় থাকায় গাঁজা নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণায় সমস্যা হচ্ছে। গাঁজা থেকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরি সম্ভব। কিন্তু কঠিন ড্রাগের তালিকায় থাকায় তা করা যাচ্ছে না। তারপরেই এই ভোটাভুটির ব্যবস্থা হয় জাতি সংঘের নারকোটিক ড্রাগ কমিশনে।
তবে গাঁজার এই তালিকা পরিবর্তনে খুশি হওয়ার কারণ নেই। এখনো মাদকের তালিকাতেই রাখা হয়েছে গাঁজাকে। এবং সাধারণের ব্যবহারের জন্য সমস্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়া হয়নি। কেবলমাত্র ওষুধ তৈরির জন্য কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে মাত্র। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইনে স্পষ্টই বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষ গাঁজা বা গাঁজা গাছের রস থেকে তৈরি চরস সেবন করলে শারীরিক সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত নেশা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। সূত্র : ডয়চে ভেলে।
সেরা টিভি/আকিব