জর্জিয়ায় জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে ‘রানঅফ’ সিনেট নির্বাচন। এ নির্বাচনের ওপরই নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের নিয়ন্ত্রণ কাদের হাতে যাচ্ছে। এই রাজ্য থেকে দুইজন সিনেটর নির্বাচিত হবেন। নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ আগে থেকেই ডেমোক্র্যাটদের দখলে।
বিবিসি জানায়, জর্জিয়াকে একসময় রিপাবলিকানদের ঘাঁটি বলা হত। কিন্তু এবার সেখানে জিতেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ১৯৯২ সালের পর বাইডেনই প্রথম কোনও ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী যিনি জর্জিয়ায় বিজয়ী হয়েছেন।
বাইডেন নির্বাচিত হলেও ট্রাম্প এখনও নিজের পরাজয় স্বীকার করেননি। বরং বারবার ‘ভোট কারচুপির’ অভিযোগ তুলেছেন। একই অভিযোগ নিয়ে তার দল বেশ কয়েকটি রাজ্যে মামলা করে। কিন্তু ভোটে অনিয়মের পর্যাপ্ত প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের বেশিরভাগ মামলাই খারিজ হয়ে যায়।
বিবিসি জানিয়েছে, জর্জিয়ায় শনিবার সমাবেশ শুরুর আগেই এক টুইটে রাজ্যের রিপাবলিকান গভর্নর ব্রিয়ান কেম্পের সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। বলেছেন, গভর্নরের উচিত ছিল সেখানে জো বাইডেনের বিজয় আটকাতে তাকে সাহায্য করা। জর্জিয়ায় প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বক্তৃতা দেন ট্রাম্প। তার বক্তব্যের বেশিরভাগজুড়েই তিনি জর্জিয়ার দুই রিপাবলিকান সিনেটরকে পুনঃনির্বাচিত করার কথা বলেছেন। সমর্থকদের সামনে ট্রাম্প এও বলেন, তিনি এখনও নির্বাচনে জিতে যেতে পারেন।
‘‘তারা আমাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতারণা এবং কারচুপি করেছে। কিন্তু আমরা এখনও জিততে পারি। কেম্পের আরও অনেক বেশি কঠোর হওয়া উচিত ছিল,” বলেন তিনি। এখনও পরাজয় স্বীকার না করলেও শনিবারের ভাষণে ট্রাম্পের গলায় কিছুটা হাল ছেড়ে দেওয়ার সুর ছিল। তিনি বলেন, নবনির্বাচিত ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় এসেই হয়ত দ্রুত তার সব বৈদেশিক নীতি পাল্টে দেবেন। ট্রাম্প পরাজয় স্বীকার করুন বা নাই করুন, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২০ জানুয়ারি দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ নেবেন।
গত ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন অনানুষ্ঠানিকভাবে ৩০৬টি এবং ট্রাম্প ২৩২টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট প্রয়োজন হয়।
আগামী ১৪ ডিসেম্বর দেশজুড়ে যত ইলেকটোরাল কলেজ আছেন তারা বৈঠকে বসে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট দিয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করবেন।
সেরা টিভি/আকিব