মুসলিমদের মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলবে শ্রীলঙ্কা - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
মুসলিমদের মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলবে শ্রীলঙ্কা - Shera TV
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১২ অপরাহ্ন

মুসলিমদের মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলবে শ্রীলঙ্কা

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ মানুষের দেশ শ্রীলঙ্কায় ১০ শতাংশই মুসলিম। সংখ্যালঘু এ সম্প্রদায় আগে সমস্যায় থাকলেও ২০১৯ সালের এপ্রিলে কলম্বোর একাধিক চার্চে সন্ত্রাসী হামলার পর দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। ওই ঘটনার পর থেকেই ইসলামভীতি ভর করেছে দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর মধ্যে।

অভিযোগ রয়েছে, শ্রীলঙ্কায় সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস মহামারির জন্যে মুসলিমদের দায়ী করে প্রচারণা চালাচ্ছে স্থানীয় কিছু গণমাধ্যম। আর লঙ্কান সরকারের কর্মকাণ্ডগুলোও হয়ে উঠেছে মুসলিমবিদ্বেষী। মুসলিমদের ধর্মীয় রীতি ও অনুভূতির তোয়াক্কা না করেই করোনায় মৃত সবার দেহ পোড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। খবর আল জাজিরার।

গত অক্টোবর থেকে শ্রীলঙ্কায় হু হু করে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। ইতোমধ্যেই সেখানে অন্তত ২৯ হাজার আক্রান্ত হয়েছেন, আর মারা গেছেন ১৪২ জন।

দেশটিতে করোনায় মৃতদের মধ্যে ১৯ মুসলিমের দেহ নিতে আবেদন করেনি তাদের পরিবারগুলো। রাজধানী কলম্বোর একটি মর্গে রয়েছে মরদেহগুলো। এখন কোয়ারেন্টাইন নীতির কথা বলে সেগুলো পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন লঙ্কান অ্যাটর্নি জেনারেল দাপ্পুলা ডি লিভেরা।

পুলিশ জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই গত বুধবার পাঁচটি মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে বাকিগুলোও পোড়ানো হবে।

তবে সরকারের এ নীতি চ্যালেঞ্জ করেছেন স্থানীয় মুসলিমরা। লঙ্কান সুপ্রিম কোর্টে মরদেহ পোড়ানো আটকানোর জন্য অন্তত ১২টি আবেদন করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও একাধিক নাগরিক অধিকার সংস্থা।

তবে কোনও কারণ উল্লেখ না করেই সেই আবেদনগুলো খারিজ করে দেয় শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ আদালত।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষণা সহায়ক রিহাব মাহামুর আল জাজিরাকে বলেন, মুসলিমদের ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে গিয়ে মরদেহ পোড়ানো খুবই অন্যায়।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নির্দেশিকায় স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, করোনায় আক্রান্তদের মরদেহ মাটিচাপা বা দাহ করা যেতে পারে। শ্রীলঙ্কা মুসলিম সম্প্রদায়কে আরও কোণঠাসা করতে এই মহামারিকে ব্যবহার করছে।

শ্রীলঙ্কান মুসলিম কাউন্সিলের সহ-সভাপতি হিলমি আহামেদ বলেন, এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, অ্যাটর্নি জেনারেল এই স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মুসলিমদের সমস্যার বিষয়ে তিনি বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর পরিবার কোয়ারেন্টাইনে থাকে এবং ওই অবস্থায় মরদেহ শনাক্ত করারও সুযোগ থাকে না। কোনও ময়নাতদন্ত হয় না। এর কারণে আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে।

গতমাসে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) শ্রীলঙ্কাকে মুসলিমদের মরদেহ কবর দিতে পরিবারগুলোকে অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। তবে সেই আহ্বানে শ্রীলঙ্কা সাড়া দেবে তেমন কোনও লক্ষণ এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি।

সেরা টিভি/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360