বরিশালে মন্দির-ভাস্কর্য পাহাড়া দিল ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক - Shera TV
  1. [email protected] : sheraint :
  2. [email protected] : theophil :
বরিশালে মন্দির-ভাস্কর্য পাহাড়া দিল ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক - Shera TV
রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ন

বরিশালে মন্দির-ভাস্কর্য পাহাড়া দিল ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার:

বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের ডাকা সমাবেশকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো দুষ্কৃতিকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য বা ম্যুরালে হামলা চালাতে না পারে সেজন্য সেসব ভাস্কর্য ও ম্যুরাল পাহাড়া দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবকরা।

বুধবার দুপুরে বরিশাল নগরীর ফজলুল হক এভিনিউতে সংগঠনটির বরিশাল জেলা ও মহানগর কর্তৃক আয়োজিত বিজয় র‌্যালি পূর্ব সমাবেশের সময় এ দৃশ্য দেখা যায়।

এ সময় সদর রোড, ফজলুল হক অ্যাভিনিউসহ আশপাশে এলাকায় অবস্থিত মন্দিরগুলোতেও পাহাড়া দিতে দেখা গেছে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন দলটির সেচ্ছাসেবকদের।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক কেএম শরীয়তউল্লাহ বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে নগরীতে সমাবেশের আয়োজন করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

তবে এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো দুষ্কৃতিকারী যাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য বা ম্যুরাল এবং মন্দির বা গির্জায় হামলা চালিয়ে আমাদের উপর দোষ চাপাতে না পারে সে জন্য আমরা আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দিয়েছি সেই সব স্থানগুলোতে নিরাপত্তার জন্য।

তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলনের প্রোগ্রাম চলাকালীন নিরাপত্তার জন্য এসব স্থানে সর্বমোট ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়।

সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, মুক্তিযুদ্ধে মুসলমানদের অবস্থান কি ছিল, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা তা ভালো করেই জানেন। নতুন করে সেটা প্রমাণ করতে বক্তব্য বিবৃতি জরুরী নয়।

তবে যারা ইসলামকে বিকৃত করার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজাকারদের পরিচয় তুলে ধরতে ইসলামের সিম্বলগুলো ব্যবহার করেন, তাদেরকে একটি বার্তা দিতে চাই, আপনারা সতর্ক হোন।

নিজেদের রাজাকার তকমা ঢেকে রাখতে ইসলামকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করবেন না, এর ফলাফল কখনো শুভ হবে না।

একইসঙ্গে আমি বাংলাদেশ সরকারকে বলব, যারা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন গল্প-সিনেমা-নাটক এবং তথ্যচিত্রে রাজাকারদের পরিচয় তুলে ধরতে ইসলামী সিম্বল ব্যবহার করে সেসব নির্মাতাদের সংশোধনের চেষ্টা করুন এবং আপনার বাবার ইজ্জত রক্ষা করুন।

শায়খে চরমোনাই আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের নির্মাণ ও পরিচালনায় ইসলাম ছিল প্রাধান্য বিস্তারকারী এক শক্তি। মুক্তিযুদ্ধকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ‘আল্লাহর পথে জিহাদ’ বলে পরিচয় করে দিয়েছে। বেতার কেন্দ্রের সেই ঘোষণার প্রেক্ষিতে মাঠ পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণাই ছিল ইসলাম।

এমনকি ৯নং সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিল আমার দাদাজান মাওলানা সৈয়দ এছহাকের (রহ.) কাছে নিয়মিত যাতায়াত করতেন, দোয়া নিতেন এবং মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে পরামর্শ নিতেন।

শুধু তাই নয় চরমোনাইসহ আশপাশের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমাদের চরমোনাই মাদ্রাসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং নিরাপদ ছিলেন।

সেরা টিভি/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360