বেড়েই চলেছে একের পর এক শিশু হত্যা।বগুড়ায় শেরপুর উপজেলায় প্রতিবেশীর বাড়ির খাটের নিচ থেকে শিশু আশিক হাসানের (৮) হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় প্রতিবেশী মো. সুরুজ্জামানসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন সুরুজ্জামান (৬০), তাঁর স্ত্রী পারভীন বেগম (৫০) এবং তাঁদের দুই ছেলে। নিহত আশিক উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর যমুনাপাড়া গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে।
নিহত আশিকের বাবা মনজুরুল ইসলাম বলেন, প্রতিবেশী সুরুজ্জামানের সঙ্গে তাঁদের কোনো বিবাদ নেই। কে বা কারা আশিককে হত্যা করে লাশ বস্তায় রেখে দিয়েছে, তা তিনি বুঝতে পারছেন না।
নিহত শিশুর চাচা রঞ্জু আলম বলেন, আশিক স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। আজ বেলা তিনটার দিকে খেলার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় সে। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় আশিককে খুঁজতে শুরু করে সবাই। পরে গ্রামেরই অন্য এক শিশু জানায়, আশিককে সুরুজ্জামানের ছোট ছেলে তাদের বাড়িতে নিয়ে গেছে। এরপর সুরুজ্জামানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, খাটের নিচে রাখা একটি চটের বস্তা থেকে রক্ত পড়ছে। পরে তাঁরা শেরপুর থানায় খবর দেন।
শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এস এম আবদুল গফুর বলেন, চটের বস্তার মধ্যে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আশিককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আশিকের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রক্তক্ষরণও হয়েছে। সুরুজ্জামানসহ পরিবারের চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।