ইসির বিরুদ্ধে ৪২ নাগরিকের অভিযোগ ভিত্তিহীন - Shera TV
  1. [email protected] : sheraint :
  2. [email protected] : theophil :
ইসির বিরুদ্ধে ৪২ নাগরিকের অভিযোগ ভিত্তিহীন - Shera TV
রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৩৬ অপরাহ্ন

ইসির বিরুদ্ধে ৪২ নাগরিকের অভিযোগ ভিত্তিহীন

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার:
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও আর্থিক অনিয়মের যে অভিযোগ দেশের ৪২ নাগরিক এনেছে তা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সিইসি কে এম নূরুল হুদা কমিশনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে ৪২ নাগরিকের বিভিন্ন অভিযোগের বিপক্ষে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন।

এ সময় নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসাইন, কমিশন সচিব মোহাম্মদ আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। তবে সংবাদ সম্মেলনে অপর নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার উপস্থিত ছিলেন না।

এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর চিঠি দিয়ে ইসির বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দেন দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক। এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলার জন্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়ে অনুরোধও জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের শুরুতে সিইসি নূরুল হুদা বলেন, সম্প্রতি দেশের ৪২ নাগরিক ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছেন বলে তাঁরা (কমিশনার) শুনেছেন। এ নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। তাই এ ব্যাপারে কমিশনের বক্তব্য স্পষ্ট করা প্রয়োজন। সিইসি বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনে প্রশিক্ষণের কর্মপরিকল্পনায় ১৫ জন বিশেষ বক্তার জন্য ২ কোটি টাকা বরাদ্দই ছিল না। ফলে প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কমিশন গত তিন বছরে প্রাধিকারভুক্ত গাড়িই পায়নি। যে গাড়ি ব্যবহার করছে, সেটি কমিশন কার্যালয়ে ব্যবহৃত হতো। কর্মচারী নিয়োগপ্রক্রিয়ায় এবং ইভিএম ক্রয় ও ব্যবহারে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলেও দাবি করেন সিইসি।

অভিযোগের বিষয়ে সিইসি বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি কূটনীতিকেরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোও কোনো অভিযোগ করেনি। আর স্থানীয় সংসদ নির্বাচনে অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। তুমুল প্রতিযোগিতার মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোট পড়ছে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ। প্রতি আসনে বা পদে প্রার্থী ২ থেকে ৮ জন। তাই নির্বাচনের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়েছে, এ কথা ভিত্তিহীন।

ইভিএম ক্রয়ের বিষয়ে ইসি বলেছে, নির্বাচন কমিশন ইভিএম আমদানি করেনি। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে একনেক কর্তৃক ইভিএম প্রকল্প অনুমোদনের পর পিপিআর ২০০৮ এর ‘অর্পিত ক্রয়কার্য’ বিধান পদ্ধতি অবলম্বন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তা ক্রয় করা হয়। ‘অর্পিত ক্রয়কার্য’-এর শর্তানুসারে ইভিএম সরবরাহ করা হয়। ইভিএম ক্রয়ের কোনো তহবিল কমিশনের কাছে ন্যস্ত হয় না। এর বিল সরকারিভাবে সরাসরি সেনাকর্তৃপক্ষকে পরিশোধ করা হয়। এ কাজে নির্বাচন কমিশন কোনো আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে না। এখানে দুর্নীতির কোনো প্রশ্ন ওঠে না।

সেরা টিভি/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360