ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে বৃটেনে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা খাত (এনএইচএস) বড় মাত্রায় চাপে পড়তে যাচ্ছে। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আরো কঠোর বিধিনিষেধ দিতে যাচ্ছেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেরেমি হান্ট অবিলম্বে দেশজুড়ে লকডাউন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি সব স্কুল কলেজ, সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, এক বাসার সঙ্গে অন্য বাসার মানুষের মেলামেশায়ও নিষিধাজ্ঞা দিতে হবে। এমন অবস্থার প্রেক্ষিতে বরিস জনসন বলেছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ কমিয়ে আনার জন্য কঠোরতা নেয়া হলেও তিনি ইংল্যান্ডের জন্য টিয়ার ব্যবস্থার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারেন। তিনি আবারো স্কুল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন তারই স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক।
তিনি বলেছেন, করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন বা স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে টিয়ার আরোপ করা হলে, তা যথেষ্ট শক্তিশালী পদক্ষেপ হবে না। তিনি আরো বলেছেন, টিয়ার-৪ এর বিধিনিষেধ পুরোপুরিভাবে লোকজন মেনে না চলার কারণে সংক্রমণ রোধ করা যাচ্ছে না। পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে সে বিষয়ে সোমবার বৃটিশ সরকারের ‘কোভিড-ও’ কমিটির বৈঠকে বসার কথা। সোমবার এ রিপোর্ট লেখার কিছুক্ষণ আগে উত্তর লন্ডনের চেজ ফার্ম হাসপাতাল সফর করেন বরিস জনসন। এ সময় তিনি বলেন, যদি আপনি আক্রান্তের সংখ্যার দিকে তাকান, তাহলে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না। যথাযথ সময়ে আমরা এ বিষয়ে ঘোষণা দেব। ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের সাবেক উপদেষ্টা নেইল ও’ব্রায়েনসহ কনজার্ভেটিভ দলের বেশ কিছু এমপি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
সেরা টিভি/আকিব