লাইফস্টাইল ডেস্ক:
জিন্স শব্দটির সঙ্গে প্রায় সকলে খুব ভালোভাবেই পরিচিত। মজার কথা হলো যারা জিন্স পরেন তারাও চেনেন; আবার যারা পরেন না তারাও চেনেন। শুধু প্যান্ট হিসেবেই নয় বরং জ্যাকেট, স্কার্ট হিসেবেও এর ব্যাপক খ্যাতি।
বর্তমানে পোশাকের তালিকায় সব থেকে বেশি পছন্দের জায়গা জুড়েই রয়েছে জিন্স। যে নারীরা তলপেটে মেদের সমস্যায় ভুগছেন তাদের কাছে বরাবরের জন্যই হাই-ওয়েস্ট প্যান্ট যেন আশীর্বাদ স্বরূপ।
তলপেটের মেদের কারণে অনেকেই তাদের পছন্দের পোশাকটি সুন্দর মত পরতে পারেন না; আবার পরলেও অনেক অস্বস্তিতে ভোগেন। তলপেটের এই মেদের কারণে অনেকেই ওয়েস্টার্ন পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। কিন্তু বর্তমান সময়ে নারীদের ব্যস্ততার মাঝে পোশাকের পেছনে খুব বেশি সময় অতিবাহিত করাটা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আসলে চেষ্টা থাকলেও সেখানে সময়ের অনেক বেশি কমতি রয়েই যায়।
আধুনিক সময়ে নারীদের কাছে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায়; অফিসের আড্ডায়; প্রতিদিনের অফিসে; কলেজে কিংবা প্রায় সব ক্ষেত্রেই হাই-ওয়েস্ট জিন্স চমৎকার পছন্দ। কিন্তু যাদের তলপেটে মেদের সমস্যা লক্ষণীয় তাদের জন্য হাই-ওয়েস্ট জিন্স অনেক বেশি কার্যকর। শুধুই ফ্যাশনের ক্ষেত্রে নয় বরং এই প্যান্টের ব্যবহারের ফলে তলপেটের মেদ অনেকাংশেই কমে যায়।
অনেকেই তলপেটের মেদ কমানোর জন্য নানা ধরনের স্লিমিং বেল্ট ব্যবহার করে থাকেন, যেমন তাদের মধ্যে ‘সোনা বেল্ট’ অনেক বেশি পরিচিত; বাজারে যার দামও অনেক। এমনকি কিনতে গেলে গুনতে হয় মোটা অংকের টাকা। যদিও দামের ক্ষেত্রে তারতম্য রয়েছে। সেক্ষেত্রেও রয়েছে পণ্যের ভাল খারাপের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন। এমনকি তাদের কার্যকারিতাও খুব একটা ইতিবাচক নয়।
পক্ষান্তরে, হাই-ওয়েস্ট জিন্স যেমন স্টাইলিশ তেমনি দামটাও সাধ্যের মধ্যে। তবে দুঃখের বিষয়টি হলো হাই-ওয়েস্ট জিন্স প্যান্ট বাংলাদেশের প্রায় সব দোকানে অথবা মার্কেটে পাওয়া যায় না। হাতে গোনা কিছু দোকানে অথবা মার্কেটে পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে এস্টেসি, গ্রামীণ ইউনিক্লো, লা রিভ, এবং ইয়েলো অন্যতম।
সেরা টিভি/আকিব